আজ ফ্রান্সের মুখোমুখি হচ্ছে মেসিরা

    0
    370

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,৩০জুনঃ  খেলা প্রেমিকদের ফুটবল উন্মাদনায় এক দিন বিরতির পর আজ শনিবার শুরু হচ্ছে শ্বাসরুদ্ধকর নকআউট পর্বের লড়াই। যে দল হারবে তারাই দেশে ফেরার বিমান ধরবে। আর বিজয়ী দল খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে। নিজেদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার মিশন নিয়ে আজ রাতে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবেন মেসিরা। কাজানে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মাঠে নামবেন তারা।

    অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে গ্রুপ পর্বের বাধা পার হয় আর্জেন্টিনা। নবাগত আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র। ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-০ গোলে উড়ে যাওয়া। দলের মধ্যে কোন্দল। কোচের প্রতি অনাস্থা। সব মিলিয়ে ছন্নছাড়া অবস্থা। অবশেষে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে মেসির জ্বলে ওঠা ও মার্কোস রোহোর অবিশ্বাস্য গোলে শেষ ষোলোর টিকেট মেলে তাদের।

    এবার বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার গত ইউরোর ফাইনালিস্ট ফ্রান্স। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দলটি শেষ ষোলোতে এলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলা দেখাতে পারেনি। তিন ম্যাচে মাত্র তিন গোল করে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে গ্রিজম্যান মাঠে থাকার পরও ডেনমার্কের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। তবু শেষ ষোলোতে এটি হাইভোল্টেজ ম্যাচ। যেখানে সাবেক তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা মুখোমুখি। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা চার বছর আগেও ফাইনাল খেলে।

    অন্যদিকে ১৯৯৮ বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স ২০০৬ সালে রানার্সআপ হয়। গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার সেরা তারকা লিওনেল মেসি মাত্র এক গোল করেন। প্রথম ম্যাচে একটি পেনাল্টি পেয়েও সেটি কাজে লাগাতে পারেননি। তবু বার্সা সুপারস্টার যে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন, তা নাইজেরিয়ার বিপক্ষে দেখা যায়।

    এদিকে ফ্রান্সের তারকা অ্যান্টনিও গ্রিজম্যানও পান মাত্র একটি গোল। সেটিও আসে পেনাল্টি থেকে। পিএসজির তরুণ তারকা এমবাপেও পান এক গোল। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে ফরাসি ডিফেন্ডার স্যামুয়েল উমতিতি বার্সা সতীর্থ মেসিকে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দিতে চান। আর্জেন্টিনার মতো দলকে হারাতে পারাটা তার জন্য গর্বের বলেও মনে করেন।

    তিনি বলেন, ‘পরের রাউন্ডে যাওয়াটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ব্রাজিল, পেরু নাকি মেক্সিকোকে বিদায় করে দিলাম, সেটা আমার কাছে বিষয় না। তবে এটা ঠিক যে আর্জেন্টিনার মতো দলকে বিদায় করে দেওয়াটা আমার কাছে গর্বের বিষয়।’

    এদিকে আর্জেন্টিনার পরের রাউন্ডে আসাকে অলৌকিক ভাবছেন না দলটির মিডফিল্ডার লো সেলসো। কঠিন লড়াই করার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি বলব না যে এটি অলৌকিক কিছু ছিল। তবে কঠিন লড়াই করতে হয়েছে। এখন ফ্রান্সের বিপক্ষে আমরা আরো অনেক বেশি শক্তিশালী।’

    মুখোমুখি লড়াইয়ে অবশ্য আর্জেন্টিনা এগিয়ে আছে। দুই দলের ১১ বারের লড়াইয়ে ছয়বার জয় পায় ল্যাটিন আমেরিকার দলটি। সেখানে হারে মাত্র তিনবার। বাকি দুই ম্যাচ ড্র হয়। এই ম্যাচের আগে আর্জেন্টিনা দলে চোট সমস্যা নেই।

    নাইজেরিয়ার বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে খেলে, সেটিতেও কোনো পরিবর্তন না আনার সম্ভাবনা রয়েছে। ফ্রান্সের ডিফেন্ডার উমতিতির চোট থাকায় তাকে নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে। তবে ডেনমার্কের বিপক্ষে খেলা একাদশে এবার বড় পরিবর্তন আসবে। গোলরক্ষক হুগো লোরিস, আক্রমণভাগের পল পগবা ও কাইলেন এমবাপে একাদশে ফিরবেন।