আজ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ

    0
    239

    রাত পোহালেই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে নির্বাচন কমিশন।

    দুই সিটিতে ১৩ জন মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর পদে প্রায় সাড়ে ৭শ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মোটরসাইকেল চলাচল। রাত ৯টার পর বন্ধ করে দেয়া হবে সব ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন।

    ঢাকার উত্তর সিটিতে মেয়র পদসহ ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং ১৮টি সংরক্ষিত আসনে ভোট গ্রহণ করা হবে। উত্তর সিটিতে মোট ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার, ৬২১ জন। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদসহ ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড, ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ হবে। এই সিটিতে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন।

    ইভিএমে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ভোট হবে আশাবাদ জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নূরুল হুদা বলেছেন, আগামীকাল (শনিবার) নিরাপদে ভোট হবে। এজন্য প্রিজাইডিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইভিএম বিষয়ে যথেষ্ঠ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তারা সার্বিক সহযোগিতা করবেন। ভোটাররা তাদের ইচ্ছামতো ইভিএমে ভোট দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এই আহ্বান জানাই আমি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করছে বলেও জানান সিইসি।

    এবার বিদেশিসহ ১ হাজার ৮৭ জন পর্যবেক্ষক দুই সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এদের মধ্যে ২২টি দেশী সংস্থার মাধ্যমে ১ হাজার ১৩ জন স্থানীয় পর্যবেক্ষক রয়েছেন। বিভিন্ন দূতাবাস ও সংস্থার মাধ্যমে ৭৪ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এদের মধ্যে ৪৬ জন সরাসরি বিদেশি নাগরিক এবং ২৮জন ১০টি দেশের দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিক।

    দুই সিটিতে মোট ভোটকেন্দ্র দুই হাজার ৪৬৮টি। এরমধ্যে এক হাজার ৫৯৭টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে ৮৭১টি। কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়েছে ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম। এসব কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন পরিচালনায় নিয়োজিত থাকবেন সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজারের বেশি নিরস্ত্র সদস্য। আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। বিভিন্ন এলাকায় টহল শুরু করেছে আইনশৃংখলা বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ টিমগুলো।

    ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকার নিরাপত্তায় ৬৫ প্লাটুন বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর ৫০ হাজার সদস্য কাজ করবেন। এরমধ্যে কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত থাকবে আনসার ও পুলিশের ৪২ হাজার ৬৮২ জন সদস্য। এছাড়া পুলিশ ও এপিবিএন সমন্বয়ে ১২৪টি ভ্রাম্যমাণ ও ৪৩টি স্ট্রাইটিং টিম, র‌্যাবের ১২৯ টিম নিয়োজিত রয়েছে।

    এছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন ও অপরাধের বিচারে দুই সিটিতে ১২৯ জন নির্বাহী হাকিম ও ৬৪ জন বিচারিক হাকিম নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫৪ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৭৫ জন নির্বাহী হাকিম ৩০ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। আর ৩০ জানুয়ারি থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তর সিটিতে ২৭ জন ও দক্ষিণে ৩৭ জন বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করবেন।