আজ জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

    0
    207

    আমারসিলেট24ডটকম,২৯ডিসেম্বরঃ  শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র ঢালী গতকাল শনিবার বলেছেন, আজ রবিবার সকাল ১০টায় বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে জেএসসি ও জেডিসির ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেবেন।এবং দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেএসসি ও জেডিসির ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী।

    আজ বেলা ২টা থেকে শিক্ষার্থীরা  শিক্ষা  বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট www.educationboardresults.gov.bd এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফল সংগ্রহ করতে পারবে বলে জানা গেছে।

    এছাড়া যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে জেএসসির ফল জানতে মেসেজ অপশনে গিয়ে JSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

    আর জেডিসির ফল পেতে মেসেজ অপশনে গিয়ে JDC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।

    ১৮দলের টানা অবরোধের কারণে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা কয়েক দফা পেছাতে হলেও ঘোষিত সময়ের মধ্যেই এবার ফল প্রকাশ হচ্ছে।এবছর জেএসসি-জেডিসিতে ১৯ লাখ দুই হাজার ৭৪৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।

    গত বছর জেএসসি-জেডিসিতে সম্মিলিতভাবে ৮৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। এরমধ্যে জেএসসিতে পাসের হার ছিলো ৮৬ দশমিক ১১ শতাংশ এবং জেডিসিতে ৯০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

    এবছর ৪ নভেম্বর থেকে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও বিরোধী দলের অবরোধের কারণে ৪ ও ৬ নভেম্বরের পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়। একই কারণে পিছিয়ে যায় জেএসসি-জেডিসির ১৭টি বিষয়ের পরীক্ষা।ফলে ২০ নভেম্বর এই পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয় ২২ নভেম্বর।

    জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।

    প্রাথমিক সমাপনীর ফল সোমবার

    প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনীর ফল সোমবার প্রকাশ করা হবে। এতে অংশ নিয়েছে ২৯ লাখ ৫০ হাজার ১৯৩ জন শিক্ষার্থী।২০ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপানী পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও অবরোধের বাধায় তা ৬ ডিসেম্বর শেষ হয়।

    প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে বারবার অনুরোধ জানানোর পরও বিরোধী দল অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যায়। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উৎকণ্ঠার মধ্যে ছুটির দিনে স্কুল খোলা রেখে পরীক্ষা শেষ করা হয়।