আগামী ২৭ এপ্রিলের ঢাকায় নারী জমায়েতের প্রতি ১০ বাম গণতান্ত্রিক দলের সমর্থন

    0
    428

    যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তরান্বিত কর, জামাত-শিবির নিষিদ্ধ কর, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা প্রতিহত কর, অসম্প্রদায়িক স্বাধীনতার স্বপক্ষে শক্তির জাতীয় ঐক্য গড়ে তোল।

    আগামী ২৭ এপ্রিলের ঢাকায় নারী জমায়েতের প্রতি ১০ বাম গণতান্ত্রিক দলের সমর্থন
    আগামী ২৭ এপ্রিলের ঢাকায় নারী জমায়েতের প্রতি ১০ বাম গণতান্ত্রিক দলের সমর্থন

    ১০ বাম গণতান্ত্রিক দলের একসভা ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্য্যালয়ে আসাদ মিলনায়তনে আলহাজ্ আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে মুক্তিযোদ্ধা নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব:) আমীন আহম্মদ চৌধুরী বীরবিক্রমের অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ, তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে সভা শুরু করা হয়। সভায় গভীর উদবেগের সাথে দেশের সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে বলা হয় একদিকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চলছে, আগামী দিনে হয়তো যুদ্ধাপরাধী গোলম আযম ও কামরুজ্জামানের রায় ঘোষিত হবে। ইতিমধ্যে দেশব্যাপী জামাত-শিবির হরতালের নামে গাড়ি ভাংচুর, গাড়ি পোড়ানো, পুলিশ পোটানো, হত্যা, বোমাবাজি, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যজনক এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এবং এই তৎপরতার সাথে সরাসরি বিএনপি যোগ দিয়েছে। এর সাথে সম্প্রতি বিএনপি জামাত-শিবিরকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার অঙ্গিকার হেফাজতে ইসলাম মাঠে নেমেছে। তাদের পরিকল্পনা বাংলাদেশকে এক তালেবানী রাষ্ট্র বানানো। সার্বিকভাবে তাদের পরিকল্পনা রাষ্ট্রকে একটি অকার্য্যকর রাষ্ট্র পরিনত করে এদেশকে পাকিস্তান, আফগানস্থান ও ইরাকের মত একটি দেশে পরিণত করা। ৩০ লাখ শহীদের রক্তে গড়া অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সভায় বাংলাদেশের মানুষের রক্ত ঢালার মধ্য দিয়ে অর্জিত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রক্ষা করার জন্য আজ শাহবাগের নতুন প্রজন্মের সাথে দৃঢ়ভাবে একাত্ম ঘোষণা করে বলা হয়
    ১) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করার দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে, এই দাবিকে আদায় করার জন্য জনগণের আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ১০ দল পিছপা হবে না।
    ২) বিএনপি-জামাতকে রক্ষা করা হেফাজতের ইসলামের ১৩ দফা দাবির বিরুদ্ধে ১০ দল সোচ্চার থাকবে এবং আগামী ২৭ এপ্রিলের ঢাকায় নারী জমায়েতের প্রতি সক্রিয় সমর্থন প্রদান করবে। এই উপলক্ষে প্রচার সমাবেশ করা হবে।
    ৩) জেলায় জেলায় হেফাজত ইসলামের ১৩ দফা দাবির বিরুদ্ধে নারী, কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুব-জনতার সমাবেশ বিক্ষোভ সংগঠিত করা হবে।
    ৪) আগামী ৩ মে ১০ দল ঢাকায় সমাবেশ বিক্ষোভ মিছিল করবে।
    ৫) অসাম্প্রদায়িক স্বাধীনতার স্বপক্ষে সকল রাজনৈতিক দল, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ও শ্রেণী পেশার সংগঠনকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তরান্বিত করা, জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ প্রতিহত করা, হেফাজতে ইসলাম, জামাত-শিবির সহ ১৮ দলের সন্ত্রাস নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে জাতীয় ভিত্তিক সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট হবে।
    সভায় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেনন এমপি, সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, কেন্দ্রীয় নেতা কামরুল আহসান খান পারভেজ, গণঐক্যের আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সদস্য সচিব এস এম সবুর, গণআজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর সাম্যবাদী দলের পলিটব্যুরো সদস্য লুৎফর রহমান, ধীরেন সিং, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) এর আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. অসিত বরণ রায়, জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা দীপায়ন খিসা এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর নেতা নুরুল হাসান, কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল ইসলাম গোলাপ, গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্ডলির সদস্য ডা. শাহাদত হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মিনহাজ সেলিম, গণ ঐক্যের কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. আবু আসলাম মিন্টু, গণ আজাদী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল জব্বার প্রমুখ।