আগামী সপ্তাহে ২৩জেলা বন্যাকবলিত হতে পারে

    0
    288

    দেশের ২৩ জেলায় আগামী সপ্তাহে বন্যাকবলিত হতে পারে এবং বন্যার স্থায়িত্ব দীর্ঘায়িত হতে পারে। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

    আজ শুক্রবার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে এ আশঙ্কার কথা জানান। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে যে সতর্কীকরণ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ১১ জুলাই থেকে পানি বাড়বে, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি বাড়বে। সেটা এবার ২৩টি জেলায় বিস্তৃতি লাভ করবে।

    ঝুঁকিপূর্ণ এ জেলাগুলো হচ্ছে- কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ। এই ২৩ জেলায় ইতোমধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

    বন্যাকবলিত এলাকার জনগণকে আশ্বস্ত করে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা আতঙ্কিত হবেন না, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন, তিনি সব সময় আপনাদের খবর রাখেন এবং আমাদের নির্দেশ দেন। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। কাজেই কোনো অবস্থায়ই খাবারের কোনো সঙ্কট হবে না।’

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বরাদ্দ ও প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রত্যেক জেলায় ২শ’ টন চাল, ৫ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা শিশুখাদ্যের জন্য, ২ লাখ টাকা গবাদিপশুর জন্য এবং ২ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট গতকালই আমরা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে পানি বাড়লেও মাঠ প্রশাসন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারে।

    বাংলাদেশ কঠিন সময় মোকাবিলা করছে উল্লেখ করে ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘আমরা আম্ফান মোকাবিলা করলাম, এরপরই আমরা ২৬ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি বন্যা মোকাবিলা করছি। ৭ জুলাই থেকে ১২টি জেলায় অনেকটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি চলে এসেছে।’

    তিনি বলেন, ‘যেহেতু বন্যায়  কবলিত অধিক সংখ্যক মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে হবে, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছি তারা যেন বেশি বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চলছে, এই পরিস্থিতিতে যাতে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়। তা ছাড়া  মাস্ক ব্যবহারেরও  নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

    তিনি বলেন, স্কুল-কলেজগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তর করে সেখানে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে। কতটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলো এবং সেখানে কতজন আশ্রয় নিয়েছেন সে তালিকা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।পার্সটুডে