আগামীকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    0
    414

    ঢাকা, ২৬ এপ্রিল : দারিদ্র্যমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সরকারি রূপকল্পের বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া ব্যাংকিং খাতে ডিজিটাইজেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অটোমেশন ও ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশনের বিশেষ উদ্যোগগুলোর উপস্থাপনা করা হবে। এ উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

    আগামীকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
    আগামীকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া উদ্যোগমালা শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এছাড়াও বক্তব্য রাখবেন ডেপুটি গভর্নর  এসকে সুর চৌধুরী। অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ব্রিফিং দেবেন ডেপুটি গভর্নর নাজনীন সুলতানা।
    জানা গেছে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর ১৯টি খাতে ব্যাংকিং ও আর্থিক অন্তর্ভূক্তি কার্যক্রমগুলো অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে ব্যাংকি খাতের আধুনিকায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে পরিচালিত বাংলাদেশ অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউজ, অনলাইন সিআইবি সার্ভিস, ব্যাংকিং এপ্লিকেশন, ইন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্লানিং, ই-টেন্ডারিং, ই-রিক্রুটমেন্ট, ই-কর্মাস, অনলাইন ড্যাশবোর্ড রিপোর্টিং সিস্টেম্স, ন্যাশনাল পেমেন্ট সিস্টেম্স, নন-ফ্রিল একাউন্টস ফর ফার্মাস, লার্জ লোন মনিটরিং সফটওয়্যার, ইমপোট এক্সপোর্ট এন্ড রেমিটেন্স মনিটর, কাস্টমার ইন্টারেস্ট প্রটেকশন সেন্টার, এগ্রি লোন ফর শেয়ার করপার, মোবাইল ব্যাংকিং, স্কুল ব্যাংকিং, গ্রিণ ব্যাংকিং। 
    অগ্রগতির চার বছর (২০০৯-২০১২), বাংলাদেশ ব্যাংকের শিল্পকলা সংগ্রহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্মারকমুদ্রা ও নোট প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন এবং টাকা যাদুঘরের শিলান্যাস করবেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গত চার বছরের উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
    দেশের ব্যাংকিং খাতকে ডিজিটাইজেশন করার লক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাইজেশন এর আওতায় নেটওয়ার্কিং, এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ইআরপি), ব্যাংকিং এপ্লিকেশন, এন্টারপ্রাইজ ডাটা ওয়্যারহাউজ, ওয়েবসাইট উন্নয়ন, ইন্টারনেট উন্নয়ন, ওপেন ডাটা ইনিশিয়েটিভ, ই-টেন্ডারিং, ই-রিক্রুটমেন্ট, ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন সংক্রান্ত ড্যাশবোর্ড, ইএক্সপি অনলাইন মনিটরিং সিস্টেম, আমদানি ও রপ্তানি মনিটরিং, টিএম ফরম ও ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স মনিটরিং, বৈদেশিক মুদ্রা বাজার মনিটরিং সিস্টেম, অনলাইনে ট্রেজারি বিল ও বন্ড এর সেকেন্ডারি ট্রেডিং, বৃহৎ ঋণ মনিটরিং সংক্রান্ত ড্যাশবোর্ড, অন্যান্য সফট্ওয়্যার ব্যবহার। ব্যাংকিং খাত ডিজিটাইজেশন এর আওতায় অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা, অনলাইন সিআইবি সেবা, পেমেন্ট সিস্টেমের আধুনিকায়ন, মোবাইল ব্যাংকিং, ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ, ই-কমার্স, অনলাইন পেমেন্ট গেইটওয়ে, বিজনেস প্রোসেস আউটসোর্সিং সেবা। আর্থিক সেবাভুক্তিকরণ এর আওতায় কৃষি ঋণ নীতিমালা, কৃষি ঋণ কার্যক্রম, নারীদের জন্য কৃষি ঋণ, বর্গাচাষিদের জন্য বিশেষ ঋণ কর্মসূচি, বিশেষ ফসল চাষে রেয়াতি সুদহারে ঋণ কর্মসূচি, দশ টাকায় কৃষকের হিসাব, স্কুল ব্যাংকিং, আর্থিক সেবাভুক্তিমূলক অন্যান্য পদক্ষেপ, পরিবেশবান্ধব পুনঃঅর্থায়ন স্কীম, কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনে বিশেষ ঋণ কর্মসূচি, এসএমই বিভাগ ও ঋণ নীতিমালা, এসএমই ঋণ কার্যক্রম, এসএমই খাতে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল, নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন, এসএমই ক্লাস্টার উন্নয়ন, সম-মূলধন উন্নয়ন তহবিল, গৃহায়ন তহবিল, আইপিএফএফ প্রকল্প, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শাখা স¤প্রসারণ, ড্রয়িং এরেঞ্জমেন্ট ও বিদেশে এক্সচেঞ্জ হাউজ স্থাপন। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের বিধি-বিধান সহজীকরণ এর আওতায় রপ্তানিকারকদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ সুবিধা, রপ্তানিকারকদের অগ্রিম প্রেরণ, তথ্য প্রযুক্তিখাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহার সুবিধা, বিদেশ প্রশিক্ষণ, সেমিনার, ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফি প্রেরণ, উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশে বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ, অন্তর্মুখী রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ঘোষণা প্রদান সহজীকরণ, বিদেশ ভ্রমণে ব্যক্তিগত ভ্রমণ কোটা প্রাপ্যতায় বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়করণ, স্থানীয় বায়িং এজেন্টগুলোর প্রাপ্ত রপ্তানি এলসি স্থানীয় উৎপাদক বা রপ্তানিকারকের কাছে হস্তান্তর, বিদেশে সাবসিডিয়ারি বা এক্সচেঞ্জ কোম্পানি স্থাপনে অর্থ প্রেরণ। ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষায় আইনগত, নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রমের আওতায়  ঋণ শ্রেণীকরণ ও প্রভিশনিং এবং ঋণ পুনঃতফসিল সংক্রান্ত নতুন নীতিমালা, ব্যাসেল নীতিমালা বাস্তবায়ন, স্ট্রেস টেস্টিং সিস্টেম প্রবর্তন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ডিপার্টমেন্ট গঠন, ব্যাংকিং খাতের সার্বিক চিত্র সম্বলিত ব্যাংকগুলোর ফিন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট প্রণয়ন ফিন্যান্সিয়াল প্রজেকশন মডেল এর প্রবর্তন,  আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনা, আইবিপি ক্রয়ে নির্দেশনা, জাল-জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন নির্দেশনা, সমনি¦ত সুপারভিশন সিস্টেম চালু। মানি লন্ডারিং ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস প্রতিরোধ এর আওতায় আইন প্রণয়ন ও নীতিমালা গ্রহণ, জিওএএমএল  সফটওয়্যার বাস্তবায়ন। গ্রীন ব্যাংকিং কার্যকমের আওতায় নীতিমালা ও গাইডলাইন, পেপারলেস ব্যাংকিং ব্যবস্থা, পরিবেশবান্ধব ব্যাংকিংয়ে প্রণোদনা। সামাজিক দায়বদ্ধতা এর আওতায় সিএসআর নীতিমালা, সিএসআর ব্যয়। গ্রাহক সেবার মানোন্নয়ন এর আওতায় গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ কেন্দ্র, ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এন্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট গঠন, কৌশলগত পরিকল্পনা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সম্বলিত নোট ও ধাতব মুদ্রা প্রচলন, স্মারক মুদ্রা ও নোট মুদ্রণ, টাকা জাদুঘর স্থাপন,  জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক রেমিট্যান্স, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রপ্তানি আয়, আমদানি ব্যয়, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকিং খাতের শ্রেণীকৃত ঋণের হার, সার্বভৌম ঋণমানে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান প্রভৃতি।