আমারসিলেট24ডটকম,২৮ডিসেম্বরঃ আওয়ামী লীগের ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে আগামী ৫ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় যমুনা ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ শুরু, ফোর-জি চালু, দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা-দক্ষতা বাড়িয়ে এর কার্যকারিতা বাড়ানো, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার অব্যাহত রাখা, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয় প্রভাবমুক্ত রাখার প্রতিশ্রুতি এসেছে। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দারিদ্র্য ১৩ শতাংশে নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন।
মহাজোট সরকারের ৫ বছরের সাফল্যও তুলে ধরা হয়েছে ইশতেহারে। বিরোধী দলের অসহযোগিতা ও সংঘাতের রাজনীতি নিয়ে একটি পরিচ্ছদ রাখা হয়েছে ৪৮ পৃষ্ঠার ইশতেহারে। আগামী পাঁচ বছরে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকরের পর আগামীতে এ বিচার বানচালের ষড়যন্ত্রে জড়িতদেরও বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে আইন করা হবে। জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করা হবে। দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা হবে।
২০১৩ সালের এই ইশতেহারে এবারের অগ্রাধিকারঃ সুশাসন, গণতন্ত্রায়ন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণসহ মোট ২৬ টি বিষয়ের শিরোনামে প্রায় ৯০টি প্রতিশ্রুতি সম্বলিত এ ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে।
এর মধ্যে আছে, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, দ্রব্যমূল্য ও সামষ্টিক অর্থনীতি, আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সামাজিক নিরাপত্তাঃ দারিদ্র্য হ্রাসে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্জিত, কর্মসংস্থান, কৃষি, খাদ্য, ভূমি ও পল্লী উন্নয়ন, শিক্ষা ও মানব উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, নারীর ক্ষমতায়ন ও জেন্ডার সমতা, শিশু-কিশোর ও তরুণ প্রজন্ম, যোগাযোগ, মাদকাসক্তি প্রতিরোধ, জলবায়ু পরিবর্তনঃপরিবেশ ও পানিসম্পদ, শ্রমিক ও প্রবাসী কল্যাণ, নগরায়নঃ পরিকল্পিত উন্নয়ন, গণমাধ্যম ও তথ্য অধিকার, জাতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মীয় স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধেও গৌরব ও মুক্তিযোদ্ধার কল্যাণ, সংখ্যালঘু, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, অনুন্নত সম্প্রদায় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম, প্রতিরক্ষা, খেলাধুলাস ও ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা, এনজিও ও বিধিবদ্ধ সিভিল সোসাইটি সংগঠন, পররাষ্ট্রনীতিসহ মোট ২৬ টি বিষয়ের শিরোনামে প্রায় ৯০ টি প্রতিশ্রুতি।