অর্ধলক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে আকল মিয়ার জানাজা ও দাফন

    0
    201

    পৌর শহরে উত্তেজনা-দোকানপাট বন্ধ-অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২মার্চ,চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ লাখো মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, আহলে সুন্নাতওয়াল জামাত চুনারুঘাট উপজেলার সভাপতি, ও প্রবীণ মুরব্বী আলহাজ্ব আবুল হোসেন আকল মিয়া (৭০)।শুক্রবার (০২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় স্থানীয় ডিসিপি হাই স্কুল মাঠে জানাজা শেষে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকে বিদায় জানালেন চুনারুঘাটবাসী।জানাজাকে ঘিরে সকাল ৮টা থেকেই মানুষ জানাজা স্থলে আসতে শুরু করে।

    সকাল ১০টার মধ্যেই মাঠ যেন জনসমুদ্রে পরিনত হয়।জানাজায় অংশ নেন সংসদ সদস্য এডভোকেট মাহবুব আলী, সাবেক সংসদ সদস্য চৌধুরী আব্দুল হাই, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবু তাহের, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আকবর হোসেন জিুত, পৌর মেয়র নাজিম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল হক ভুইয়া, চুনারুঘাট মাধবপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার এস এম রাজু, অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমিরুজ্জামান, হাজী আব্দুল লতিব, মাওলানা আলী মোহাম্মদ চৌধুরী, মাওলানা সোলাইমান খ্যান রাব্বানী, মাওলানা শাহজালাল আহমদ আখঞ্জি, মাওলানা মুসলিম খান, মাওলানা মোসাহিদ আলী, আহলেসুন্নাত ওয়াল জামাতের সেক্রেটারি মাওলনা আব্দুল কাইয়ূম, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দুলাল, মাওলানা জোবায়ের আহমেদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম জাফরী, শফিউল আলম জুয়েল, এস এম সুলতান খান, ব্যাকস সেক্রেটারি মাসুদুর রহমান মাসুদ, ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, সাইফুল আলম রুবেল, চুনারুঘাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নুরুল আমিন, সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ, প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি জামাল হোসেন লিটন, বিএনপি সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক তালুকদার, জাপা, জামায়াতসহ লাখো মুসল্লী।

    জানাজা নামাজ পড়ান আল্লামা সিরাজনগরী হুজুর। পরে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।

    বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় মসজিদে নামাজে আসার পথে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওযার পর সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যান।

    চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা ও চুনারুঘাটের সকলের পরিচিত মুখ হাজী আবুল হোসেন আকল মিয়া তার পৌর শহরে বাল্লা রোডের আসায় বসবাস করতেন।

    বৃহস্পতিবার (০১ মার্চ) ভোরে সাড়ে ৫টার দিকে অন্যান্য দিনের মতো তিনি তার নিজের গড়া আল মদিনা মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে ঘর থেকে বের হন। মসজিদের ১শ গজ দুরেই বাল্লা রোডের কাছে পুর্ব থেকে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে একা পেয়ে এলোপাতারি হাতুরি আঘাত করে এবং দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে।

    ঘটনার পর পরই স্থানীয় দুজন মহিলা রাস্তায় হাঁটতে বের হয়ে তার রক্তমাখা বডি দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। তখন মসজিদের মুসল্লীরা দ্রুত নামাজ শেষ করে এসে রাস্তার পাশে একটি গলী থেকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পায়। সাথে সাথে তাকে প্রথমে চুনারুঘাট ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যায়।

    নিহতের মুখে অসংখ্য হাতুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং ঘাড়ে মারাত্বক জখম রয়েছে।

    জানাজা নামাজে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং সহকারি পুলিশ সুপার দ্রুত এ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন এবং হত্যাকারীদের খুজে বের করার আশ্বাস দেন।