অর্থের বিনিময়ে সহকারী গ্রন্ত্রাগারী নিয়োগের অভিযোগ

    0
    234

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্ত্রাগারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও কানে তুলেন নি বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। একাধিক সংবাদ মাধ্যমে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশিত হলেও পূর্ব নির্ধারীত মুকলেছুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার(১৩,১২,১৮)সকালে ৩৩জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করার কথা থাকলেও ৪জন উপস্থিত পরীক্ষার্থী দিয়ে পরীক্ষার কার্যক্রম কোন রখমে চালায় কৃতপক্ষ আর এই অভিযোগ এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতির ও শিক্ষক কর্মকর্তার বিরোদ্ধে। তাদের বিরোদ্ধে অভিযোগ রয়েছে পলাশ ইউনিয়নের বাসিন্ধা মুখলেছুর রহমানের কাছ থেকে ৬লাখ টাকা নিয়ে চাকরী পাইয়ে দেবার জন্য উৎকোচ নিয়েছে তারা। আর পরীক্ষার্থী মুখলেছুর রহমনের লাইব্রেরীয়ানের গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেটটি সঠিক নয়। মুখলেছুল বগুড়া লাইব্রেরীসাইন্স কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে চলমান স্থগিত পরীক্ষার্থী। এছাড়াও তার কাজ পত্রে নানান অনিয়ম রয়েছে। এছাড়াও মুখলেচুর রহমান সাবেক ছাত্রশিবির কর্মী জানান,বিদ্যালয়ের শিক্ষক,অভিভাবক সদস্য ও স্থানীয় এলাকাবাসী। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এই অনিয়মের বিরোদ্ধে ও নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করার দাবী জানান এলাকাবাসী। এর পরও স্কুল কতৃপক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল না করে নিয়োগ কার্যক্রম চালানোর কারনে অভিভাবক সদস্য আক্কাছ আলী ক্ষোবের সাথে বলেন,স্কুল কমিটির যে নিয়োগ দিচ্ছে তা আমরা কেউ জানি না। এই নিয়োগে এক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৬লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। টাকার পরিমান মন মত না হওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি এর পূর্বেও একটি নিয়োগও বাতিল করেছেন। শুধু তাই নয় গত বছর পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ায় অভিযোগে বুধবার(১১,১২,১৮)উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্য্যালয়ের মিটিং হয়েছে। অতিরিক্ত টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে। আর দুদক থেকে তর্দন্ত ও হবে। সরকারী নিয়মের বাহিরে স্কুল কতৃপক্ষ টাকার বিনিময়ে এক বিষয়ে নয় দুই-তিন বিষয়ে ফেল করা ছাত্রকেও এসএসসি রীক্ষায় অংশ গ্রহন করার সুযোগ দিয়েছে। এছাড়াও স্কুলের মাঠ বরাট করার জন্য এক লাখ টাকা সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি শামসুন নাহার শাহানা রব্বানী বরাদ্ধা দিলেও সেই টাকা কোন কাজেই লাগায় নি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি। এছাড়াও তাদের বিরোদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে আমি সবার সামনেই বলতে পারব। তাই এই নিয়োগ বাতিল করার দাবী জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক,অভিভাবক সদস্য ও স্থানীয় এলাকাবাসী। একাধিক সূত্রে জানাযায়,যে ৪জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে তাদের মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি কৌশলে দুজন ইনডেক্সধারী শিক্ষককে দিয়ে সাহায্যকারী হিসাবে আনে পূর্ব নিধারীত পরীক্ষার্থী মুখলেছুর রহমানকে সমর্থন করার জন্য। ঐ দুই জন ইনডেক্সধারীর মধ্যে একজন হলেন,বালিজুরী এলাহীবক্স উচ্চ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্ত্রাগারী বুলবুল আহমদ আরেক জন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার একটি স্কুলের শিক্ষক। এছাড়াও ৩৩জন পরীক্ষর্থীদের কাউকেই জানানো হয় নি মুখলেচুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য এই নিয়ে এলাকায় তুমুল আলেচনা সমলোচনার ঝড় উঠেছে।
    বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান বলেন,সহকারী গ্রন্ত্রাগারীক নিয়োগ হয়েছে সঠিক ভাবে। মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কোন অনিয়ম হয় নি।
    পরিচালনা কমিটির সভাপতি জুলহাস মিয়া বলেন,আমি কোন অনিয়মের সাথে জরিত নই। নিয়োগে টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন,টাকা লেনদেনের খবর কোথা থেকে পেল জানি না। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার মোঃ সারোয়ার আলম বলেন,নিয়োগে কোন অনিয়ম হবে এমন কোন তথ্য আমার কাছে নেই। তারপরও কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে আমি খোজঁ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।