অভিনব কায়দায় পারাবতে ছিনতাই,আতঙ্কে নিয়মিত যাত্রীরা

    0
    283

    সাদিক আহমদ,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেসে অভিনব কায়দায় প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।এসমস্ত ঘটনা মিডিয়াতে খুব কমই আসছে।সুত্রমতে জানা গেছে এ জাতীয় ঘটনা রেলওয়ে পুলিশসহ রেলে থাকা অন্যান্য কর্মচারীদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে  ভুক্তভুগিদের কাছ থেকে।

    ভুক্তভোগী যাত্রীদের অভিযোগ থেকে জানা যায়,গত ৬ই মে সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেসে ভৈরব এলাকা পার হবার পর থেকে বিমানবন্দর স্টেশন পর্যন্ত নির্বিঘ্নে চলে ট্রেনের ভেতরে অভিনব কায়দায় দীর্ঘসময় ছিনতাইয়ের ঘটনা ক্রমান্বয়ে ঘটতে থাকে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় আক্রান্তদের একজন বুয়েটে কর্মরত জনাব ইরফান খান কাঠালবাগ ঢাকার অধিবাসী,তিনি মোবাইল ফোনে আমার সিলেটকে জানান,সিলেট থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে ভৈরব স্টেশন অতিক্রম করার পর থেকে ডানে বামে ট্রেনটির সামনে পিছনে ৩/৪টি বগির যাত্রীদের হাতব্যাগ,ভ্যানিটিব্যাগ,এগুলো অতি কৌশলে ট্রেনের ছাদ থেকে হুক লাগানো কিছু একটা দিয়ে হঠাৎ করে টেনে নিয়ে যায়।এরপর ১০/১৫ মিনিট পর ব্যাগ গুলো মোবাইলসহ মুল্যবান সামগ্রীগুলো রেখে ছাদের উপর থেকে নিচের দিকে ফেরত দেয়।

    তিনি বলেন,”এ ধরণের ঘটনায় ট্রেনের যাত্রীদের বিশেষ করে নারী ও শিশুদের মধ্যে মারাত্মক  আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।আমার স্ত্রীসহ আমরা এসময় মারাত্মক নিরাপত্তার অভাব বোধ করি।পুলিশকে খুঁজি কিন্তু ৩/৪ বগি পর্যন্ত পুলিশকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।তবে এসময় বিভিন্ন বগিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে শোনা গেছে।

    অপর এক যাত্রী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন,বউ বাচ্চা নিয়ে ট্রেনে যাতায়াত করতে হয়।সংবাদ মাধ্যমে কথা বললে তো আর নিরাপত্তার সুযোগ থাকবে না।ঐসময় যা ঘটেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায়না।সবচেয়ে আশ্বর্য যে ভৈরব থেকে ঢাকা বিমানবন্দর পর্যন্ত চলন্ত ট্রেনের ভেতরে অভিযোগ করার মতো প্রশাসনিক কাউকে পাওয়া যায়নি।এটা খুব দুঃখজনক পারাবত ট্রেন একটি গুরুত্বপূর্ণ যানবাহন।এর মধ্যে বরাবরই সরকারি বেসরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়ীবৃন্দের যাতায়াতের মাধ্যম।এরকম যানবাহনে যদি অহরহ যাত্রীদের জিম্মি থাকতে হয় তাহলে আমরা কিভাবে চলাচল করবো !”

    এরকম ঘটনা আর কখনো ঘটেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,”অহরহ ঘটছে।ট্রেনে আমাকে  সপ্তাহে ১/২ দিন আমাকে যাতায়াত করতে হয়।প্রায়ই এরকম ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনতে পাই।নিজেরা সাবধান থাকার চেষ্টা করি।আল্লাহ বাঁচানোর মালিক।“
    পুলিশ কি করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,”ওদেরকে কোথায় পাবেন! সম্ভবত কোনো রিজার্ভেশনে ঘুমিয়ে থাকেন।ওদের কথা বলে লাভ নাই।ওদের সহযোগিতা না থাকলে ট্রেনের ছাদে লোক থাকে কি করে ?

    অপর এক যাত্রী বলেন,যে সমস্ত নারীদের ব্যাগ নিয়ে গেছেন তাদের চোখেমুখে যে পরিমাণ ভয়ের ছাপ দেখেছি তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।আমারাও তো নিরাপত্তাহীন।বাচ্চাকাচ্চা সাথে কোনো  ঝুঁকি তো নিতে পারিনা।“

    উপরোক্ত ঘটনার ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন “আমি ডাকাতি বা ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনিনি এই মাত্র আপনার কাছ থেকে শুনলাম,এ ব্যাপারে ভৈরবের স্টেশন মাষ্টারকে কল দিতে পারেন ভৈরবের ফোন নম্বার আপনার কাছে আছে কি না জিজ্ঞাসা করতে তিনি বলেন আমার কাছে নেই।”