অবশেষে বৈধ হলেন তাসকিন-সানি

    0
    210

    আমার সিলেট টোয়েন্টি ফোর ডটকম,সাদিক আহমেদ ইমন,(ক্রীড়া প্রতিবেদক),২৩ সেপ্টেম্বরঃ বেশ কিছুদিন যাবৎ বাংলার ক্রিকেট প্রেমীরা অধীর অপেক্ষায় ছিল একটি সুসংবাদ শোনার জন্য।কেউ ছিল খুব চিন্তিত,কেউবা ছিল খুব বিশ্বাসী।সবাই অপেক্ষায় ছিল কবে আসবে সেই কাঙ্ক্ষিত সময়।অবশেষে আজ শুক্রবার বাংলার ক্রিকেট পাগলদের মন উচ্ছ্বাস আনন্দে ভরে গেল।
    সেই আনন্দ সেই আবেগ সেই অপেক্ষার খবর টি হলো তাসকিন-সানির ফিরে আসা।অবশেষে তাসকিন-সানিকে নিষেধাজ্ঞার কারাগার থেকে মুক্তি দিল আইসিসি।শুক্রবার বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানায়, ব্রিজবেনের পরীক্ষায় বৈধ প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের দুই বোলারের বোলিং অ্যাকশন।
    এতে করে আবারো আফগানিস্তান সিরিজের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে শেরে বাংলা সহ সব ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দেখা যাবে তাসকিন আহমেদকে।তাসকিন বৈধ হয়েই ফিরবে এই কথায় ভুব বেশীই বিশ্বাসী ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।আর এর জন্যই ১৪ সদস্যের দলে তাসকিনের জন্য একটি জায়গা খালি রেখেই ১৩ সদস্যের দল ঘোষনা করে বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।এইদিকে আরেক স্পিনার আরাফাত সানির নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও অান্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং একশন শোধ্রে নতুন একশনে ফিরতে খানিকটা সময় লাগবে বলে মনে করছে বিসিবি।আর তাই অাফগানিস্তান সিরিজে রাখা হয়নি আরাফাত সানিকে।বিসিবি বিশ্বাসী যে ঘরোয়া এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার মধ্য দিয়ে নতুন একশনে নিজেকে আবারো নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন আরাফাত সানি।
    ২০১৫ সালের ০৯ই মার্চ ভারতে অনুষ্টেয় টি২০  বিশ্বকাপের ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তাসকিন-সানির বোলিং একশন নিয়ে প্রশ্ন উঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।এজন্য নেদারল্যান্ড ম্যাচের পরই তাসকিন-সানিকে বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কার করে আইসিসি।পরে দুজনকেই বোলিং একশন পরীক্ষার জন্য  ভারতের চেন্নাইয়ে পাঠানো হয়।দুজনের হাতের বাঁকানো এঙ্গেল অবৈধ মনে হয় আইসিসির।পরে ১৯ মার্চ অবৈধ বোলিং একশনের দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সকল বোলিং থেকে তাসকিন-সানিকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি।২১ মার্চ আইসিসির এই রায়ের বিরিদ্ধে আপিল করে বিসিবি।দুদিন পর জুডিশিয়াল কমিশনার বহাল রাখেন নিষেধাজ্ঞা।এরপর দুজনই দেশে ফিরে বোলিং সাধনায় লেগে পড়েন।

    ঘরোয়া ক্রিকেটে ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলেন তাসকিন।এই দিকে প্রথম দিকে ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেললেও মধ্য সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা শুরু করেন সানিও।দুজনই গভীর মনযোগ দিয়ে বোলিং একশন শোধ্রাতে থাকেন।বেশ কিছুদিন ক্রিকেটের ঘরোয়া ভার্সনে ও ব্যক্তিগত ভাবে নিজেদের ঝালাই করে নেয়ার পর বিসিবি নিজেদের “টুডি”পদ্ধতিতে তাসকিন-সানির বোলিং এর এঙ্গেল পরীক্ষা করেন।বিসিবি বিশ্লেষকগণ তাসকিন-সানির বোলিং একশন এখন সম্পূর্ণ বৈধ বলে মনে করেন।তারপর তাসকিন-সানিকে ০৮ ই সেপ্টেম্বর বোলিং একশন পরীক্ষা পুণরায় দেয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়ার ব্রিজবেনে পাঠায় বিসিবি।০৮ সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হয়েছিল দিন গণনা।অবশেষে আজ শুক্রবার(২৩ সেপ্টেম্বর) তাসকিন-সানির বোলিং বৈধ ঘোষনা করে আইসিসি।
    এর আগে বাংলাদেশের আরোও দুই স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ও সোহাগ গাজীর বোলিং একশন অবৈধ প্রমাণিত হলে নিজেদের শ্রোধ্রে আবারো ক্রিকেটে ফিরেন তারা।কিন্তু দুজনেই হারিয়ে যান অফফর্মে।এবার নতুন বোলিং একশনে আবারো বোলিংএ ফিরছেন তাসকিন-সানি।নতুন বোলিং একশনে নিজেদের কতটুকু মেলে ধরতে পারবেন তা এখন কেবল দেখার পালা।