অবশেষে অস্ত্রসহ রিজেন্ট এর শাহেদ সাতক্ষিরা থেকে আটক

    0
    295

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ অনেক পেরেশানি জল্পনা ও কল্পনার শেষে করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. শাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। র‍্যাবের সুত্রমতে আজ বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও এর আগে মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন স্পটে তল্লাশি করা হয়েছিল।
    র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার সংবাদ মাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়াসহ নানা ভয়াবহ প্রতারণার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান পলাতক আসামি রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে বুধবার ভোরে সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরার সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
    সাহেদের গ্রামের বাড়িও সাতক্ষীরা জেলায়।

    মহামারী করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা এবং ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং বাড়িতে থাকা রোগীদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে ৬ জুলাই র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের প্রথমে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর সড়কে অবস্থিত রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৮ জনকে আটকের পর র‍্যাবের দলটি মিরপুরে রিজেন্টের অন্য শাখায় অভিযান পরিচালনা করে।
    পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে সাহেদ করিমকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন। সাহেদকে গ্রেপ্তারে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত নজরদারিতে রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে মৌলভীবাজার সীমান্তেও ছিল কড়া নজরদারি।
    এরই মধ্যে গত কাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। রিজেন্টের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ২ নম্বর আসামি তিনি। সাহেদের প্রতারণার অন্যতম সহযোগী এই মাসুদ।
    এদিকে রিমান্ডে থাকা আট আসামির সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
    উল্লেখ্য এর আগে মৌলভীবাজার জেলায় কোন বিএনপি সমর্থিত লোকের টিরিসোর্ট বা কোন পাহাড়ি বাড়িতে তাদের সহযোগিতায় লুকিয়ে আছে বলে অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিলো। এই রকম এক জনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন পূর্বে তার সু সম্পর্কের কিছু দলীয় লোক ছিল আর সেই সুজুগে সুবিধা নেওয়াটা সাভাবিক,তবে এটি একটি চক্রান্ত করেছে। যে কোন মাধ্যমে তার মোবাইল ফোনটা এইখানে পাঠিয়ে অন করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে অন্য রাস্তা দিয়ে নির্বিঘ্নে পালাতে চেষ্টা করেছে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।আপডেট।ছবি সংগৃহীত