আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৫মার্চঃ লিবিয়ায় তাকফিরি ওহাবি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আইএসআইএল’র হাতে অপহৃত দুই প্রবাসী বাংলাদেশি অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার হেলাল উদ্দিন ও নোয়াখালীর আনোয়ার হোসেন। তাঁদের সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম গতকাল রাতে হেলালউদ্দিন ও আনোয়ার হোসেনের মুক্তির খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার লিবিয়ার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তারা মুক্তি পেয়েছেন। তাঁরা যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমাদের মুক্তির খবর জানানো হয়েছে। দু জনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা সুস্থ আছেন। আজ এই দুজনের ত্রিপোলি আসার কথা। এর পরই আমরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারব।’
হেলাল উদ্দিনের ছেলে রুবেল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় সাংবাদিকদের জানান, ‘রাত ১২টা ৪০ মিনিটে লিবিয়া থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বাড়িতে ফোন করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, আমার আব্বা এবং আনোয়ার হোসেন নামের আরেক বাংলাদেশিকে জঙ্গিরা মুক্তি দিয়েছন।’
হেলালের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, ‘হেলাল দেশে ফিরলেই আসল খুশি।‘ বড় মেয়ে হেলেনা আক্তার বলেন, ‘আব্বা মুক্তি পাওয়ার পর এখনো একবারও ফোন করে নাই। আমরা কথা বলার জন্য অপেক্ষা করে আছি। আর আব্বা সর্বশেষ গেছে এক বছর হয়ে গেছে। আমরা সবাই দেখার অপেক্ষায় আছি। আব্বা দেশে ফিরলেই আমাদের ঈদের আনন্দ হবে।’
আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নে। আনোয়ারের স্ত্রী মারুফা খাতুন দুই সন্তান রাহিম (৬) ও রাইমাকে (৪) নিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে থাকেন। আনোয়ারের মুক্তির খবরে মারুফা খাতুন বলেন, ‘গত রাতেই স্বামীর মুক্তির খবর পেয়েছেন। ২০ দিন পর বুকের ওপর থেকে যেন একটা ভারী পাথর নামল। এখন তিনি স্বামীর দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন।’
গত ৬ মার্চ লিবিয়ার সিরতে শহরের আল ঘানি তেলখনিতে বন্দুকধারী জঙ্গিরা হামলা চালায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার আগেই জঙ্গিরা ১১ জন নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে। পরে সেখান থেকে দুই বাংলাদেশিসহ নয়জন বিদেশিকে অপহরণ করা হয়। তাঁরা সবাই ভ্যালু অ্যাডেড ওয়েলফিল্ড সার্ভিসেস (ভিওএএস) নামের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।