অন্তরঙ্গ অভিসারে ডেকে অণ্ডকোষ থেঁতলে ও চোখ উপড়ে হত্যা

    0
    292

    ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি অনুসারে জৈন্তাপুরে জামাল হত্যার ফলোঅাপ

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১১আগস্ট,রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধিঃ সিলেটে জামাল হোসেন (২৮) হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আমেনা বেগম (২২)। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল আলমের আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় এই জবানবন্দি দেন। আমেনা বেগম জানান, মামাতো ভাই জামালের সঙ্গে দীর্ঘ দিন তার পরকীয়া ছিল।

    গত ৫ আগস্ট রাত ১০টার দিকে অন্তরঙ্গ অভিসারের জন্য ডেকে এনে স্বামী, দেবর ও ভাসুরের সহযোগিতায় তাকে হত্যা করা হয়। এরপর বাড়ির পেছনের নদীতে লাশ ডুবিয়ে দেওয়া হয়। তিন দিন পর ৮ আগস্ট নদী থেকে শ্রমিক জামাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিরাইমারা (গড়েরপার) গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে। আর আমেনা বেগম উপজেলার কেন্দ্রি ঝিঙ্গাবাড়ির মইনুল ইসলামের স্ত্রী।

    এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমেনা সহ চারজন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিরা হলেন- উপজেলার কেন্দ্রি ঝিঙ্গাবাড়ির সিরাজ উদ্দিন মিস্ত্রীর ছেলে আইনুল ইসলাম (৩২) ও জয়নুল ইসলাম (২২) এবং একই গ্রামের কলিম উদ্দিনের ছেলে মনির (১৯)।
    জবানবন্দিতে আমেনা উল্লেখ করেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী জামাল হোসেনকে ৫ আগস্ট রাতে বাড়ির পেছনে ডেকে আনা হয়। ফোনে বার বার তাকে তাগাদা দেন আমেনা। এরপর জামাল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তার চোখ উপড়ে ও অণ্ডকোষ থেঁতলে হত্যা করা হয়। এরপর কলসী নদীতে লাশের হাতে-পায়ে পাথর ও ইট বেঁধে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত জামাল হোসেনের সঙ্গে তার মামাতো বোন আমেনার দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পারিবারিক ভাবে তাদের প্রেম মেনে নেয়নি। পরে তাদের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বিয়ে হয়। বিয়ের পরও তাদের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জের ধরেই গত ৫ আগস্ট আমেনা জামালকে ডেকে এনে নৃশংস ভাবে হত্যা করেন।