অনুমোদনহীনভাবেই চলছে ৪৩ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

0
417
অনুমোদনহীনভাবেই চলছে ৪৩ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার
অনুমোদনহীনভাবেই চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার

নূরুজ্জামান ফারুকী, বিশেষ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জে চিকিৎসাসেবার নামে চলছে হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের রমরমা ব্যবসা। শহর থেকে গ্রাম সব পর্যায়েই দালাল কেন্দ্রীক এসব কথিত হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি।

অভিযোগ রয়েছে, এসব হাসপাতালে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। এছাড়া টাকার বিনিময়ে ভূয়া এক্সরে রিপোর্ট দিয়ে থাকেন এসব প্রতিষ্ঠান। গত ২৮ জানুয়ারি ভূয়া এক্সরে রিপোর্ট ও সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগে শফিকুল ইসলাম শফিককে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জে ১৩১টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে শুধু ৮৮টি চিকিৎসা কেন্দ্রের লাইসেন্স রয়েছে। বাকি ৪৩টির নেই বৈধ কাগজপত্র। এরমধ্যে হবিগঞ্জ সদরেই রয়েছে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান বাকি ৮ উপজেলায় রয়েছে ৭৭টি হাসপাতাল ও ডায়গনস্টিক সেন্টার। এদের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যে প্রশাসনের অভিযান হলেও অভিযান শেষে তাদের অবস্থান বরাবরই চলে যায়।

এসব চিকিৎসা কেন্দ্র গুলোর সিংহভাগই দালাল নির্ভরশীল। দালালরা গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল রোগীদের তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যেতে ওত পেতে বসে থাকেন। পরে তাদের কাছ থেকে চিকিৎসার নামে আদায় করা হয় অতিরিক্ত টাকা।

কোন কোন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের মেয়াদ তিন-চার বছর আগেই শেষ হয়েছে, কেউ তা নবায়ন পর্যন্ত করেনি। তবু সেসব হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে প্রকাশ্যে, সবার চোখের সামনে। তাদের চিকিৎসা বাণিজ্যও চলছে পাল্লা দিয়েই। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোনো নিবন্ধন না নিয়ে কোথাও কোথাও শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই অসাধু ব্যবসায়ীরা চিকিৎসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ লাইসেন্সের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদনকরেই যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে তুলছেন। অবৈধ ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিভাগ বরাবরই উদাসীন।