অচিরেই আ’লীগের তালিকা,সিলেট বিভাগ প্রায় চূড়ান্ত

    0
    290

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে আ’লীগের একাধিক নেতার সুত্রে জানা যায়,  আসন্ন  একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী-এমপিদের কয়েকজন বাদ পড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে নতুন মুখের দেখা মিলবে আশা করা হচ্ছে। তবে কোন আসন থেকে কাকে বাদ দেবেন আর কাকে নেবেন সেটি নেত্রীই ভালো বলতে পারেন। নেত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হবে আমাদের। আমরা কাউকে এগিয়ে রাখতে চাই না। দল থেকে যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে আমরা তার জন্যই কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।

    অন্য যে কোনো সময় থেকে এ বছর  ৪০২৩টি দলীয় মনোনয়নপত্র বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ। এক আসনে সর্বোচ্চ ৫২ জন দলীয় মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করার নিয়ম থাকলেও নানা কারণে এবার বিভিন্ন সংস্থা ও সাংগঠনিক জরিপের ভিত্তিতে প্রার্থী মনোনয়ন দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল। এজন্য প্রার্থীদের আলাদা সাক্ষাৎকার নেয়া হচ্ছে না। ফলে মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাদের গণভবনে ডেকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে তাদের কাজ করার ওয়াদা নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। জোটবদ্ধ নির্বাচনের কারণে মহাজোটের শরিক দলগুলোকে অন্তত ৬৫ থেকে ৭০টি আসন ছেড়ে দিতে পারে আওয়ামী লীগ।

    এই  পরিমাণ আসন বাদ দিয়ে বাকি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে দু এক দিনের মধ্যেই জানিয়েছেন দলের সাধারন সম্পাদক ওবাইদুল কাদের । এখনও জোটের শরিক দলগুলোর সঙ্গে প্রার্থিতা নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি। এ ছাড়া যুক্তফ্রন্টসহ আরো কিছু দল ও প্রার্থী আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ নির্বাচন করতে চায়।

    তাদের নিয়েও আলোচনা চলছে। এ অবস্থায় দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আরো সময় নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তাই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অপেক্ষা আরো অন্তত এক সপ্তাহ দীর্ঘায়িত হতে পারে।

    দেখা গেছে,দলীয় মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরুর পর থেকে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঢাকায় অবস্থান করছেন। প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর তাদের অনেকে এলাকায় যাবেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এখন ভিড় করছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের বাসা এবং কার্যালয়ে। মনোনয়ন বোর্ডে আছেন এমন নেতাদের কাছেও ভিড় করছেন তারা। দলীয় সূত্র বলছে, জোট মহাজোটের জটিল সমীকরণের কারণে দলের অনেকের মনোনয়ন ঝুঁকিতে আছে। এ ছাড়া জরিপ রিপোর্টে যাদের বিষয়ে নেতিবাচক তথ্য এসেছে বর্তমান এমপি বা মন্ত্রী হলেও তাদের মনোনয়ন দেয়া না ও হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।আরও জানা গেছে এমন সংখ্যা ৫০ এর অধিক হতে পারে।

    অপরদিকে অসমর্থিত একটি সুত্রে জানা গেছে বৃহত্তর সিলেট বিভাগে প্রার্থিদের সম্ভাব্য তালিকা প্রায় চূড়ান্ত। সিলেট বিভাগে আ’লীগের যে সকল প্রার্থীদের নাম এ পর্যন্ত জানা গেছে তারা হলেন- ড. আব্দুল মোমেন, সিলেট-১ । আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট-২ । মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, সিলেট-৩ । ইমরান আহমেদ, সিলেট-৪ ।হাফিজ আহমদ মজুমদার, সিলেট-৫ । নুরুল ইসলাম নাহিদ, সিলেট-৬ । শাহাব উদ্দিন, মৌলভীবাজার-১ ।
    নেছার আহমদ, মৌলভীবাজার-৩ । উপাধ্যক্ষ ড মোঃ আবদুস শহীদ, মৌলভীবাজার-৪ । আমাতুল কিবরিয়া (কেয়া চৌধুরী) হবিগঞ্জ-১ । আবদুল মজিদ খান, হবিগঞ্জ-২ । আবু জহির, হবিগঞ্জ-৩ । ড: ফরাস উদ্দিন, হবিগঞ্জ-৪ । জয়া সেনগুপ্ত, সুনামগঞ্জ-২ । আজিজুস সামাদ ডন, সুনামগঞ্জ-৩ । মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-৫ ।
    মুলত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনয়নের এখতিয়ার আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের। এই বোর্ডের সদস্যরা হলেন-আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্লাহ,  অধ্যাপক ড. আলাউদ্দীন আহমেদ, রশিদুল আলম, রমেশ চন্দ্র সেন, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও কর্নেল (অব.) ফারুক  খান। এর মধ্যে নতুন সদস্য হিসেবে বোর্ডে স্থান পেয়েছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও কর্নেল (অব.) ফারুক খান। বোর্ডের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা যাওয়ার পর একটি সদস্যপদ খালি ছিল। এ ছাড়া সংসদীয় বোর্ডের অন্য দুই সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও ড. আলাউদ্দিন আহমেদ অসুস্থ। এবার একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেতে ৩০০ আসনে ৪ হাজার ২৩ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

    কেউই নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না দল থেকে মনোনয়ন কে পাবেন। তবে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহকারী সবার বিশ্বাস সবাই দলীয় মনোনয়ন পাবেন। এক্ষেত্রে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দল কাকে মনোনয়ন দেবে তা দেখতে হলে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।