অগ্নিকাণ্ডে শ্রীমঙ্গলে দশ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

    0
    262

    সাদিক আহমেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩ নং শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের বিষামনি গাংপার এলাকায় গত মাঝরাত আড়াইটায় কয়েকটি দোকানে আগুন লেগে প্রায় ১০-১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে বলে জানা গেছে।

    ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে ২ টি মুদি দোকান,১ টি গুদামঘর,১ টি ফার্মেসি,১ টি চায়ের স্টল ছিলো।

    এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়,গতকাল দিবাগত রাত আজড়াইটায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে এবং আগুন দোকানগুলোতে ছড়িয়ে যায়।এসময় বিষামনি গাংপার মসজিদের ইমাম সাহেব মাইকিং করে জানিয়ে দিলে এলাকাবাসী যার যার সাধ্য অনুযায়ী আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।সাথে সাথে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের ১ টি ইউনিট সেখানে পৌছে এবং ৪৫ মিনিটের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সূচী মেডিসিন হলের মালিক শাহআলম জানান,তার ফার্মেসির প্রায় আড়াই লাখ টাকার ঔষধ পুড়ে গিয়েছে।বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে জানান তিনি।

    ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মুদী দোকানের মালিক বিল্লাল মিয়া জানান,তার দোকানের প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গিয়েছে।আজ দিবাগত রাত আড়াইটায় আগুন লাগে।আমরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছি।ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ৪৫ মিনিট পর তারা পৌছে।

    এদিকে শ্রীমঙ্গল ফায়ারসার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন আমার সিলেটকে বলেন,খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই।আমরা পৌছার আগেই প্রায় ৩ টি দোকান পুরে যায়।আমাদের একটি ইউনিট সেখানে পৌছে এলাকার একটি ছড়াতে পাম্প ফিটিংস করে ৪৫ মিনিট চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।

    তিনি আমাদের জানান,প্রাথমিক ভাবে আমরা ধারণা করছি আগুন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই লেগেছে।এতে প্রায় ১০-১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছি।

    এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসা উক্ত এলাকা (৬ নং ওয়ার্ড) এর মেম্বার বিশ্বজিৎ দেব বর্মা জানান,এখানে যে অগ্নিকাণ্ড হয়েছে এটা রাত আনুমানিক ২ টায় লেগেছে।স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেব মাইকে জানিয়ে দিয়ে সবাইকে বালতি নিয়ে আ সার জন্য আহ্বান করলে সবাই সাধ্যমতো চেষ্টা করে আগুন নেভানোর।তিনি জানান,তারা সাথে সাথে ফায়ারসার্ভিস ও পল্লী বিদ্যুতকে ফোন দেন।ফায়ারসার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।আরো জানান,আগুনে ১৫/২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    তিনি বলেন,ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারী সাহায্য দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে আমি কথা বলেছি।

    পরিদর্শনে আসা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় আমার সিলেটকে বলেন,প্রতিদিনের মতো তারা দোকান বন্ধ করে বাসায় যায়।দিবাগত রাত ২/৩ টায় আ গুন লাগে।আমার ধারণা ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানতে পেরেছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সুত্রপাত।

    তিনি আরো বলেন,আগুনে প্রায় ৪ টি দোকান পুড়েছে,এবং প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।তাদের দোকানগুলো থেকে ১ টি টাকাও বের করে আনতে পারে নি।

    ভানু লাল রায় আরো বলেন,ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়া হবে বলে আশ্বস্থ করেন তিনি।এছাড়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারী অনুদান দেয়ার একটি বিধান রয়েছে।আমি তাদেরকে লিখিত একটি আবেদন করার জন্য বলেছি।আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের যথেষ্ট পরিমাণমতো সহায়তা দিতে পারবো আশা করছি।

    এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো পরিদর্শনে আসেন উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আফজল হক,জাকের পার্টির আব্দুল কাইয়ুম।