হেফাজত বারবার সকারকে হুমকি দিয়েই সমাবেশ করতে চাই!

    1
    368

    আমারসিলেট24ডটকম,১১ডিসেম্বরঃ হেফাজতের মতো ‘ধর্মান্ধ রাষ্ট্র বিরোধী শক্তিকে’নগরীতে সমাবেশের অনুমতি দিলে পরিণতি ‘ভয়াবহ’ হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীসহ সাধারন জনগণ।  মঙ্গলবার হেফাজতের  এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে হেফাযতের ব্যবস্থাপনায় আহমদ শফীর আহ্বানে এ ইসলামী মহাসম্মেলন হয়ে আসছে।

    এটা কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ নয়। রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিও নয়। সরকার যদি সম্মেলন আয়োজনে বাধা দেয় তাহলে চট্টগ্রামের লাখ লাখ তৌহিদী জনতাকে রাজপথে নেমে আসতে হবে।১২ ও ১৩ ডিসেম্বর জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে ইসলামী মহাসম্মেলনের অনুমতি না দেয়ার মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলে চট্টগ্রামকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে বলেও হুমকি দেয়া হয় হেফাজতের এক বিবৃতিতে।

    হেফাজতীরা বিবৃতিতে বলেন, কাল্পনিক নাশকতার ধুঁয়া তুলে সম্মেলন বন্ধ করার দৃষ্টান্ত কোনোভাবে বরদাশ করা হবে না। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।বিবৃতিদাতাদের মধ্যে সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী, মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, নায়েবে আমির শামসুল আলম, নায়েবে আমির মাওলানা ইদরিস, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সলিমুল্লাহ, মাওলানা তাজুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

    এদিকে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী একই দিনে এক বিবৃতিতে হেফাজত ইসলামকে চট্টগ্রামের কোথাও সভা-সমাবেশের অনুমতি না দিতে পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।বিবৃতিতে তিনি বলেন, নাশকতা চালিয়ে ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে হেফাজতে ইসলাম এদেশকে ‘জঙ্গি রাষ্ট্রে’ পরিণত করতে চায়। ‘’নিকট অতীতে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বহিরাগত হেফাজতিরা ৫০ লাখ নগরবাসীকে জিম্মি করে নাশকতা চালিয়েছে। অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে এবং জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিবের দিকে জুতা নিক্ষেপ করেছে।‘’

    বিবৃতিতে মহিউদ্দিন আরও বলেন, “গুটিকয় ধর্মদ্রোহী লোক” সহজ-সরল ধর্মপ্রাণ মানুষকে “বিপথগামী” করে এ ধরণের বর্বরতা চালাবে- এটা নগরবাসী কিছুতেই মেনে নেবে না।তারা সভা-সমাবেশের নামে নগরীতে ঢুকতে পারবে না। যদি ঢোকে, তার পরিণতি হবে ভয়াবহ।দলবদ্ধভাবে নগরীর সব প্রবেশ পথে অবস্থান নিয়ে বহিরাগত হেফাজতিদের প্রতিহত করতে নগরবাসী ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

    গত ৫মে মাসে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থান নিয়ে আশেপাশের এলাকায় দিনভর তাণ্ডব চালায় হেফাজতকর্মীরা। পরে পুলিশি অভিযানে পালাতে বাধ্য হয়। তার পরেও হেফাজত বারবার সকারকে হুমকি দিয়েই সমাবেশ করতে চাই!