হাওর পাড়ে শুধূই বুকভরা র্দীঘশ্বাস ভোগান্তিতে লক্ষাধিক মানুষ

    0
    337

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৬আগস্ট,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:হাওরপাড়ের জীবন্ত মানুষ গুলো যখন বেচেঁ থাকে তখন শেষ নিঃশ্বাস টাই অনুধাবন করা যায়। বেচেঁ থাকাটা র্দীঘশ্বাস ছাড়া আর কিছুই নেই দূর্যোগ,দূর্ভোগ কবলিত হাওরবাসী জীবনে। হাওর পাড়ের দূর্ভোগের শেষ কোথায় এই প্রশ্নই ঘুপাক খাচ্ছে হাওরবাসীর মনে। বার বার বন্যায় ক্ষতির শিকার হলেও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

    ফলে ক্ষতি শিকার হতে হচ্ছে প্রতি বছর অসময়েই। সুনামগঞ্জ জেলায় বছরের শুরুতেই পানিতে ডুবে বোরো ধানের দূর্যোগের দূর্ভোগ সামাল দিতে না দিতেই এখন শুরু হয়েছে বন্যা। অকালে বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যাবার পর ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় সহায়তা। তা দিয়ে কোন রখমে জীবন যাপন করছিল হাওরবাসী। এখন তা বন্ধ রয়েছে।

    বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আবারও চালু দাবী জানিয়েছে হাওরপাড়ের হাজার হাজার ক্ষতিগ্রস্থরা। সরকারী যে সহায়তা দিচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় সমান্য। আর বর্তমানে এখনও সরকারী সহায়তা পাই নি জেলার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রতন্ত্য এলাকার মানুষজন। জানাযায়,জেলায় ৭টি উপজেলায় গত কয়েক দিনের টানা বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকার ছোট ছোট দ্বীপ সাদৃশ্য গ্রাম গুলোর চারদিকে পানিতে থৈথৈ করছে। বসত-বাড়িতে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে মা,বাবা রয়েছেন উদ্ধেগ আর উৎকন্ঠা মধ্যে।

    এদিকে বন্যার পানি ন্মিা লের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে জেলা ও উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় পানি বন্ধী হয়ে আছে হাওরপাড়ের লাখ লাখ মানুষ অসহায় সাধারন মানুষ। তবুও খোলা হয়নি আশ্রয় কেন্দ্র গুলো। পানির জন্য কর্মহীন অবস্থায় থাকায় ও বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় খাবার সংকটে রয়েছে হাওর পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। অসহায় হাওরবাসীর মাঝে এখন বিরাজ করছে শুধু বুক ভড়া র্দীর্ঘশ্বাস।

    আরো জানা যায়,জেলার তাহিরপুর বিশ্বাম্ভরপুর,জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা,মধ্যনগড়,দোয়ারা,ছাতক,দিরাই-শাল্লা উপজেলায় ১০হাজার হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

    পানিতে তলিয়ে গেছে হাওর পাড়ে টিউবওয়েল গুলো। ফলে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি সংকট। বিশুদ্ধ পানি অভাবে দেখা দিচ্ছে নানান পানি বাহিত রোগ।

    এছাড়াও ভেঙ্গে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। নিন্মা অ লের স্কুল,হাট-বাজার,বসত-বাড়ি,রাস্তা-ঘাট বন্যার পানি ডুবে আছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়,হাসাপাতাল,বিভিন্ন হাট-বাজার,স্কুল গুলোতে ছাত্ররা আসতে না পারায় ক্লাস বন্ধ রয়েছে। জেলার সীমান্ত এলাকার ছোট-বড় অর্ধশতাধিক ছড়া দিয়ে প্রবল বেগে পাহাড়ী ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ার কারনে পাহাড় ধসের আতংকের মধ্যে রয়েছে সীমান্ত এলাকায় ও নদী তীরবর্তী ঘর-বাড়ি গুলো রক্ষা করার জন্য ঐ এলাকার লোকজন করছে পানির সাথে যুদ্ধ।

    তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজার ঔষধ কোম্পানীর ফারিয়ার সভাপতি সুহেল আহমদ সাজু,ব্যবসায়ী সাদেক আলী,ডাঃ হাফিজ উদ্দিন জানান-জেলা শহর সহ আশে পাশের উপজেলা গুলোর সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সীমাহীন ভোগান্তিতে আছে উপজেলা বাসীর। ডুবে যাওয়া হাট-বাজারের দোকানের মালামাল অনত্র সরিয়ে নিচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম আকাশ সমান। খেটে খাওয়া দিন মজুর শ্রমিকরা আছে মহা বিপদে। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস আলম আখঞ্জি জানান-বন্যার কারণে তাহিরপুর উপজেলার হাওর এলাকার দ্বীপ সাদৃশ্য গ্রাম গুলোতে বসবাসকারী মানুষ রয়েছেন উদ্ধেগ আর উৎকন্ঠা মধ্যে।

    যে পরিমান সরকারী সহায়তা পেয়েছি তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবেই কম। সরকারী সহায়তা দূত আরো বাড়ানো প্রয়োজন। জেলা ত্রান কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান,জেলার সব কটি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার,নগত টাকা ও চাল বিতরন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম জানান,বন্যায় ক্ষতি গ্রস্থদের সহায়তায় আমরা সবাতর্œক প্রস্তুত আছি।