হবিগঞ্জ-৪ আসনে আ’লীগ প্রার্থী এড. মাহবুব আলীর প্রচারণা

    0
    337

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৩আগস্ট,চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনটি চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত। চা বাগান বেষ্টিত এ আসনটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামীলীগের দখলে রয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার গঠনের পর সংসদে এই আসনের প্রথম সংসদ সদস্য ছিলেন বর্তমান এমপি এড. মাহবুব আলীর পিতা মরহুম মাওঃ আসাদ আলী এমপি। তারপর সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মরহুম এনামুল হক মোস্তফা শহীদ ৬ বারের এমপি ছিলেন।

    সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ও ৬ বারের নির্বাচিত এমপি এনামুল হক মোস্তফা শহীদের বার্ধক্যজনিত ও অসুস্থতার সুযোগে এবং নেত্রীর মন জয় করে এড. মাহবুব আলী ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুনারুঘাট-মাধবপুর আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন লাভ করে চুনারুঘাট-মাধবপুরের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে সাথে নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী এড. মাহবুব আলী আওয়ামীলীগ থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং চুনারুঘাট-মাধবপুরবাসীর মাঝে চমক সৃষ্টি করেন।

    চুনারুঘাট-মাধবপুর আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দু’উপজেলার নেতাকর্মীদের মাঝে সময় দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যান। আগের তুলনায় বর্তমানে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী এড. মাহবুব আলীর সাথে আছেন। ইতোমধ্যেই মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগসহ সহযোগি সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে খ্যাত, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ও সাদামনের মানুষ বর্তমান সংসদ সদস্য এড. মাহবুব আলী মাধবপুর-চুনারুঘাটবাসীর উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। এড. মাহবুব আলী এমপির ব্যক্তিগত সহকারী মোছাব্বির হোসেন বেলাল মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মাঝে সেবামূলক সহযোগিতা ও আচার-আচরণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মন জয় করে এমপি এড. মাহবুব আলীর সুনাম বৃদ্ধি করে চলেছেন।

    চুনারুঘাটের একাধিক লোক জন ও নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের সাথে এড. মাহবুব আলী এমপি’র উন্নয়নমূলক সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের বিষয়ে আলাপ হলে তারা বলেন, আমাদের এমপি মাহবুব আলী ভালো ও সাদামনের মানুষ, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। তিনি আমাদের এলাকার নানান সমস্যা সমাধানে এবং এলাকার উন্নয়নে অনেক অবদান রেখে যাচ্ছেন। আমরা এমপি সাহেবের কাছে কোন কাজ নিয়ে গেলে আমরা আশ্বস্ত হই এবং তিনি আমাদেরকে মুখ ফিরিয়ে দেননি। এড. মাহবুব আলী এমপি ও তার ব্যক্তিগত সহকারী বেলালের কাছে গেলে তারা আমাদের সমস্যা কি শুনেন এবং আশ্বস্ত করে আচার-আচরণ ও ভালবাসা দিয়ে আমাদের সহ সাধারণ মানুষকে মুগ্ধ করেন। আমরা এতেই অনেক খুশি। মরহুম মাওঃ আসাদ আলী এমপি’র সুযোগ্য সন্তান আমাদের এমপি এড. মাহবুব আলী ও তার সহকারী টাকা পয়সার বিনিময়ে কোন কাজ এবং ঘুষ দুর্নীতি করেননি। তাই তিনি সবার নিকট প্রিয় এবং তিনি দলীয় গ্র“পিং লবিং পছন্দ করেন না। পুলিশ প্রশাসন দিয়ে কাউকে হেস্তন্যান্ত করেননি। যে কারণে আমাদের দল ও সংগঠন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হচ্ছে। এমপি মাহবুব আলীর প্রচেষ্টায় চুনারুঘাটে ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন হচ্ছে। সংসদ সদস্য এড. মাহবুব আলীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় গ্রামীণ জনপদের অবকাঠামো এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করায় গ্রামীণ জনপদের দৃশ্যপট চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিনি চুনারুঘাটের উন্নয়নে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর নিকট থেকে প্রায় প াশ কোটি টাকারও বেশি উন্নয়ন প্রকল্প কাজ নিয়ে এসেছেন।

    প্রকল্পগুলো চুনারুঘাট হইতে সাটিয়াজুরী সড়ক বর্ধিত করণসহ উন্নয়নে ৩৭ কোটি টাকা (বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগ), শ্রীকুটা বাজার হইতে কাজিরখিল রোড মুড়ারবন্দ সৈয়দ নাসির উদ্দিন (র.) এর মাজার সড়ক বর্ধিত করণ ও উন্নয়নে ৯ কোটি টাকা (বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগ), সাতছড়ি ত্রিপরা পল্লী সংযোগ সেতু নির্মান ২ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা (বাস্তবায়নে- এলজিইডি), রানীগাও বস্তি পারকুল সড়কে করাঙ্গী নদীতে সেতু নির্মান ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা (বাস্তবায়নে- এলজিইডি), মিরাশী নতুন বাজার-নাছিমাবাদ চা বাগান সড়কের করাঙ্গী নদীর উপর সেতু নির্মাণ দেড় কোটি টাকা (বাস্তবায়নে-এলজিইডি) প্রক্রিয়াধীন, বড়জুষ-কালেঙ্গা সড়কে ১ কিঃ মিঃ রাস্তা পাকা করণের কাজ অচিরেই শুরু হবে।

    লস্করপুর-লতিফপুর সড়কে সেতু নির্মান ২ কোটি টাকা (বাস্তবায়নে- এলজিইডি), সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের করাঙ্গী নদীতে সেতু নির্মান ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা (বাস্তবায়নে- এলজিইডি)। এর মধ্যে সাটিয়াজুরী সেতুর কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং সাতছড়ি সেতুর কাজ চলছে। অত্যন্ত বিনয়ী সাংসদ এড. মাহবুব আলী গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি ‘কাবিখা’ ও কাজের বিনিময়ে টাকা ‘কাবিটা’, টেস্ট রিলিফ ‘টিআর’ ও ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি এবং এলজিএসপি প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদের রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্ট, দু’উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতায়ন ও সোলার প্যানেল স্থাপন, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মক্তব-মসজিদ, মন্দির-গির্জা সহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। এড. মাহবুব আলী এমপি টি.আর, কাবিখা দিয়ে গ্রামের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সোলার প্যানেল স্থাপন এবং দু’উপজেলার প্রত্যেকটি বাজারের মোড়ে সোলার প্যানেল স্টিট লাইট স্থাপন করে গ্রামকে নগরায়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

    এছাড়াও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন এলাকায় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার প্রত্যন্ত ও দুর্গম পল্লী এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে সড়ক যোগাযোগ ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন উন্নয়নে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছেন। এছাড়াও গরীব অসহায় গৃহহীনদের মাঝে ঢেউটিন ও ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য নগদ আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছেন। সুতাং ছড়ায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কালর্ভাট নির্মান করায় কালিশিরী-চান্দপুর বাজারে সংযোগ হয়েছে। ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কালেঙ্গা পাহাড়ী জনপদে সংযোগ সড়কে সেতু নির্মান করা হয়েছে। এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করায় প্রত্যন্ত ও দুর্গম পল্লীর বাসিন্দাদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে। গ্রামীণ জনপদের এসব এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সড়কে নতুন সেতু-কালভার্ট নির্মাণ ও সংস্কার না হওয়ায় এসব এলাকার হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল এবং প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করতো লোকজন। এসব হাজারো মানুষের দুঃখ লাঘব ও এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের জন্য এলাকায় সড়কে নতুন সেতু-কালভার্ট নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ এবং উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। এসব সড়কে নতুন সেতু-কালভার্ট নির্মাণ ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হলে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশপাশি গ্রামীণ জনপদের চিত্র পাল্টে যাবে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত। এসব সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ায় প্রত্যন্ত এলাকায় গ্রামীণ জনপদের হাজারো মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

    এছাড়া তিনি চুনারুঘাটের মানুষের প্রাণের দাবী বাল্লা স্থলবন্দরের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন ও ইকেনোমিক জোন স্থাপনেও কাজ করে যাচ্ছেন। মাধবপুর-চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট ব্রিজ, কালভার্ট সহ দু’উপজেলার প্রত্যন্ত অ লে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং চুনারুঘাট-মাধবপুরের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকল্পে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। এড. মাহবুব আলী এমপি মাধবপুর-চুনারুঘাটে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও এ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নিয়ে টানা হেচড়া চলছে। অন্য দিকে বিএনপি থেকে বারবার মনোনয়ন প্রাপ্ত সৈয়দ মো: ফয়সল এবারো বিএনপির প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেত্রী শাম্মী আক্তার শিফার নামও প্রার্থী তালিকায় রয়েছে। তাছাড়া আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির অন্যান্য প্রার্থী ও প্রার্থীতার নাম ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে।