হবিগঞ্জের বাহুবলে দু’দলের সংঘর্ষে নিহত-২,আহত অর্ধশতাধিক

    0
    414

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১২আগস্ট,হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ  হবিগঞ্জের বাহুবলে দু’দলের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে প্রবাসীসহ ২ জন এবং আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক।এর মধ্যে গুরুত্বর আহত রয়েছে আরও কয়েকজন।স্থানীয় সুত্রে পাওয়া তথ্যে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবলে বালি মহাল ও সিরামিক কোম্পানিতে কাচামাল প্রদানকে জের ধরে অবশেষে মসজিদ কমিটি ও ইমাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার ভোররাতে উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের মুগকান্দি জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন- মুগকান্দি গ্রামের সাবু মিয়ার ছেলে কবির আখনঞ্জী (৪৫) ও একই গ্রামের মতিন মিয়া (৫০)। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের মুগকান্দি জামে মসজিদের কমিটি গঠন ও ইমাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষেের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে শুক্রবার জুম্মার নামাজে সাতকাপন ইউপি চেয়ারম্যান মুগকান্দি গ্রামের আবদাল মিয়া আখনঞ্জী গ্রুপের সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের শফিক মাস্টারের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বাদ জুম্মা উভয় পক্ষ দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী-শিশুসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়।
    পরে আবারো শনিবার ভোরেও তারা ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। পরে সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে বাহুবল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    অন্যান্য আহতরা হলেন, ফরিদ মিয়া তালুকদারের পুত্র আজাদ (২৬), মৃত আপ্তান মিয়ার পুত্র সুহেল মিয়া (৩০), মৃত আমির হোসেন আখঞ্জীর পুত্র সেলিম আখঞ্জী (৩০), আব্দুল আউয়াল ফটিকের পুত্র মহিবুর রহমান (২৫), মৃত সিকান্দর উল­ার পুত্র সমাই মিয়া (৩৫), মৃত ছন্দু মিয়ার পুত্র রুনু মিয়া (৫০), আব্বাস উদ্দিনের পুত্র সানু মিয়া (৬০), মৃত আমির হোসেনের পুত্র সিজিল মিয়া (২৮), কাছন মিয়ার পুত্র নূর উদ্দিন (১৮), সুলতান মিয়ার পুত্র নূর মিয়া (৬০), আব্দুল সোবহানের পুত্র আরশ মিয়া আখঞ্জী (৫৫), উস্তার মিয়ার পুত্র তোফায়েল (২৫), হাজী ছন্দু মিয়ার পুত্র বাবুল মিয়া (৩৫), সমাই মিয়ার পুত্র রুবেল (১৮), মৃত সিকান্দর উল­ার পুত্র কাছন মিয়া (৫০), আরজ মিয়ার পুত্র সুজন আখঞ্জী (২৭), কাপ্তান মিয়া আখঞ্জীর পুত্র সোহান আখঞ্জী (২২), সুলতান মিয়ার পুত্র জাহাঙ্গীর মিয়া (৬০), সানু মিয়ার পুত্র জাহিদ মিয়া (২৮), মৃত মতির মিয়ার পুত্র মমিন মিয়া (২৭), মৃত আবিদ আলীর পুত্র জুনাব আলী (৫০), রুনু মিয়ার পুত্র রাজিব (১৩) ও রাফিন (১৫), মোজাম্মেল উদ্দিনের পুত্র মোঃ জসিম (৩৮), জাহাঙ্গীর আখঞ্জীর পুত্র মোছাব্বির আখঞ্জী (২০), কুরুশ মিয়ার পুত্র রাজন মিয়া (২২), ফুল মিয়ার পুত্র আনোয়ার মিয়া (৫৫), এএসআই সুহেল শাহ (৩৩), কনস্টেবল জাহিদ খান (২৬) ও আনোয়ার হোসেন (২০) প্রমুখ সহ আরও অনেকে।
    এ ব্যাপারে বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র এএসপি রাসেলুর রহমান জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।