হবিগঞ্জের কায়সারের বিরুদ্ধে ৯ ধরনের ১৮টি অভিযোগ

    0
    244

    আমার সিলেট  24 ডটকম,১০নভেম্বরঃ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী হবিগঞ্জের সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের বিরুদ্ধে ৯ ধরনের ১৮টি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে জিয়াদ আল মালুমসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কয়েকজন প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে ২ হাজার ৪৪৭ পৃষ্ঠার এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।কায়সারের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, আটক, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।

    গত ২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ ‍টিপুর কাছে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগম। মামলার তদন্তের স্বার্থে, তদন্ত সংস্থা গত ১ সেপ্টেম্বর সৈয়দ কায়সারের ঢাকার বাসায় গিয়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাকে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।গত ৫ আগস্ট শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়ে বর্তমানে রাজধানীতে ছেলের বাসায় রয়েছেন কায়সার।

     গত ২১ মে কায়সারকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর গত ৫ আগস্ট শর্তসাপেক্ষে তিনি জামিন পান।গত ১৫ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে কায়সারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একাত্তরের ২৭ এপ্রিল সৈয়দ কায়সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার (তৎকালীন মহকুমা) বিজয়নগর থানা এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে থেকে হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অত্যাচার ও গুরুতর জখমের ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ রয়েছে।

    হবিগঞ্জ জেলার (তৎকালীন মহকুমা) মাধবপুর থানা এলাকায় তারা একটি বাজারসহ গ্রামের অসংখ্য বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন এবং অনেক লোককে তিনি হত্যা করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১৭ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ নির্বাচিত হন কায়সার। পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং দলের হবিগঞ্জ শাখার সভাপতি হন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন কায়সার। ১৯৮৮ সালে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।