সুন্নিয়তের রাজনীতিতে সুষ্পষ্ট বিজয়ের সংকেতঃইসলামী ফ্রন্ট

    0
    321

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,২১আগস্টঃ বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা এম এ মতিন বলেছেন, মানুষের মধ্যে মানবীয় দুর্বলতা, ভুল-বিচ্যুতি থাকতেই পারে। মানুষকে ফেরেশতা মনে করা ঠিক নয়। বিচারপতি কিংবা সাংসদ কেউ আইন, জবাবদিহিতা বা সমালোচনা উর্ধ্বে নয়। জনতার
    আদালতে জবাবদিহিতা এবং বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতা সবার মাঝে থাকা চাই। তাই কাউকে সমালোচনার উর্ধ্বে মনে করা বড় ভুল। এম এ মতিন বলেন, বর্তমানে অবাধ রাজনীতির সুযোগ নেই। সরকার ভিন্ন দল ও ভিন্নমতের প্রতি সম্মান দেখাতে ব্যর্থ। সব দল নির্বিঘ্নে রাজনীতির ময়দানে সরব থাকার সুযোগ পাচ্ছে না। সকল দলের জন্য সমান রাজনৈতিক সুযোগ নিশ্চিত করে সিইসিকে একটি অবাধ ও
    পক্ষপাতমুক্ত নির্বাচন উপহার দিতে হবে। না হয় বিদ্যমান রাজনৈতিক ঘোলাটে পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা হবে না। ১৯ আগস্ট শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলার বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম এ মতিন এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়ব আলী। স্বাগত বক্তব্য দেন উত্তর জেলা ইসলামী ফ্রন্ট সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মাওলানা মুহাম্মদ গোলামুর রহমান আশরফ শাহ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা ছাদেকুর রহমান খান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই বর্তমান সময়ে জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। সব দল সমান রাজনৈতিক সুযোগ না পেলে দেশকে ঘনীভূত রাজনৈতিক সংকট থেকে উদ্ধার করা যাবে না। গণতন্ত্র মানেই হারজিত। কেউ জিতবে। কেউ হারবে। তবে নির্বাচনটি হতে হবে সুষ্ঠু, পক্ষপাতমুক্ত ও অবাধ।

    ইসলামী ফ্রন্টের মাধ্যমে গণমুখী আদর্শিক সুন্নিয়তভিত্তিক রাজনীতির সুষ্পষ্ট বিজয়ের একটি সংকেত দেখা যাচ্ছে বরে উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে জনগণ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারলে সম্মিলিত জাতীয় জোট তাক লাগানো বিজয় ছিনিয়ে আনবে। স্বাগত বক্তব্যে মাওলানা আশরফ শাহ বলেন, সাংগঠনিক তৎপরতাকে বেগবান করে এবং জনগণের আস্থা ও সমর্থন নিয়ে আমাদেরকে এগুতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়ব আলী বলেন, সাবেক রাষ্ট্রনায়ক এরশাদ, আল্লামা এম মান্নান ও এম এ মতিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট রাজনীতিতে গুণগত ও নীতিগত পরিবর্তন আনতে মাঠে সক্রিয় রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি ও সুন্নিয়তের চেতনা ধারণকারীরাই আগামী দিনে রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় তুলবে।

    আগামী দিনে জাতীয় নির্বাচনে এরশাদ-মান্নান-মতিনদের জোট ভুমিধস বিজয় ছিনিয়ে আনবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন এবং এ লক্ষ্যে জোটের শরিক দলসহ ইসলামী ফ্রন্ট, ছাত্রসেনা ও যুবসেনা নেতাকর্মীদেরকে কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়ার তাগিদ দেন। বর্ধিত সভায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলার তৃণমূলের দায়িত্বশীল নেতাকর্মীগণ খোলামেলা আলোচনা ও নানা বিষয়ে নিজেদের মতামত দেন। এরশাদ-আল্লামা মান্নান-মতিনদের মাধ্যমে গঠিত সম্মিলিত জাতীয় জোটকে রাজনীতির মূলধারায় নিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিনিধি পাঠাতে সকল স্তরের নেতাকর্মীদেরকে এখন থেকে জোরালো প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তৃণমূলেরই ইসলামী ফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ।

    সভায় অতিথি ও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রচার সচিব মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার, ইসলামী ফ্রন্ট নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আকতার হোসেন, ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এইচ এম শহীদুল্লাহ, যুবসেনা চট্টগ্রাম উত্তরের সভাপতি মাস্টার মুহাম্মদ ইসমাইল, ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম উত্তরের সভাপতি হোসাইন মুহাম্মদ এরশাদ সহ ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম উত্তর ও তার আওতাধীন উপজেলা/পৌরসভা সমূহের অসংখ্যা নেতাকর্মীগণ।