আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৬ডিসেম্বর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ১৯৭১সালের ৬ডিসেম্বর এই দিনে সুনামগঞ্জ জেলা হানাদার মুক্ত হয়েছিল। জানাযায়,সুনামগঞ্জ শহর কে পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত করার জন্য মেজর মোত্তালিব,ক্যাপ্টেন যাদব,ক্যাপ্টেন রগুনাথ ভাট নগড়ে একটি পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী হানাদার বাহিনীর উপর আক্রমনের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি কোম্পানীতে বিভক্ত করা হয়।
এ কোম্পানীকে যোগীর গাঁও,বি কোম্পনীকে হালুয়ারঘাট,সি কোম্পানীকে হাসনগর,ডি কোম্পানীকে ভাদের টেক,ই কোম্পানীকে মল্লিকপুর,এফ কোম্পানীকে কৃষœ তলা অবস্থান গ্রহন এবং তাদের যাবতীয় রসদ সংগ্রহ করার দায়িত্ব দেওয়া হয় এডিএম কোম্পানীকে।
এছারাও অতিরিক্ত একদল মুক্তিযোদ্ধা কে বনগাঁও সদর দপ্তরে রাখা হয়। সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে যৌথ নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা নতুন প্রভাত ছিনিয়ে আনার জন্য পাকিস্তানী বাহিনীর বুকে চুরান্ত আগাত করতে এগিয়ে আসে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করলে কোথাও পাকিস্তানী বাহিনীর চিহ্ন পাওয়া যায় নি।
পাকিস্তানী বাহিনী মধ্য রাতেই পালিয়ে যায় সুনামগঞ্জ শহর ছেড়ে। এই সংবাদ চারদিকে প্রচার হতে থাকলে জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরীত হয়ে উঠে বাংলার আকাশ বাতাশ। সুনামগঞ্জ মুক্ত ঘোষনার পর শুরু হয় ত্রান ও পূর্নবাসনের কাজ। শহর ও পাশ্ববর্তি অঞ্চলে তত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর মোত্তালিবকে।
এছারাও যুদ্ধ বিধস্ত সুনামগঞ্জ এর মোকাবিলা করার জন্য দেওয়ান রেজা চৌধুরী কে চেয়ারম্যান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির সদস্যরা যুদ্ধাত্তর নানান সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট ছিলেন।