সুনামগঞ্জে নানা অঘটনে হুমকির মূখে বেরী বাধঁ

    0
    371

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২এপ্রিলঃ     সুনামগঞ্জে নানা অঘটনে হুমকির মূখে বেরী বাধঁ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের হালির হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় ঝুঁকিপূর্ণ কালিবাড়ি ক্লোজার (ভাঙ্গা) ও ওই বাঁধের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা চলছেই। ওই ক্লোজারের নিরাপত্তায় দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার জোরালো দাবি উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে,উপজেলা বেহেলী ইউনিয়নের বেরী বাধেঁর একমাত্র প্রধান বাধা হয়ে দাড়িয়েছে হরিপুর মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি একই গ্রামের নিকঞ্জু বিহারীর ছেলে প্রভাকর রায়ের বিরোদ্ধে।
    জানা যায়,গত বছর হাওরে কালি বাড়ি ক্লোজারের ভাঙ্গা দিয়ে পানি এসে সমস্ত হাওরের ফসল তলিয়ে যায়। যার কারনে উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং জেলা কমিটির সভায় এসব বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন হালির হাওরের দায়িত্ব প্রাপ্ত পাউবোর উপ-সহকারি প্রকৌশলী নিহার রঞ্জন দাস। বেরী বাধেঁর দু-পাশে ড্রেজারের মাটি গভীর গর্ত ভরাট করার জন্য উপজেলা তদারকি কমিটির সিদ্ধান্ত হয়।

    সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শাখা কর্মকতা ও ড্রেজার কতৃপক্ষ বালি ভরাট করতে গেলে হরিপুর মৎস্য জীবি সমিতির সভাপতি প্রভাকর রায় শাখা কর্মকর্তাকে মোবাইলে ২টি নাম্বার থেকে গর্তে মাটি ভরাট করলে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার হাত-পা ভাঙ্গাসহ প্রানে মারার হুমকি দেয়। হুমকির পর তদারকি কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে গত ১২.০৩.১৮ তারিখে সমিতির সভাপতিসহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামি করে জামালগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়রি করেন পাউবোর উপজেলা শাখা কর্মকর্তা নিহার রঞ্জন দাস। পর দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদারকি কমিটির অন্যান্য সদস্যসহ ওই গর্তে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন।

    এবং কালিবাড়ি ক্লোজারের পার্শবর্তী হরিপুর গ্রামের ভজন তালুকদাকে বাধঁটি রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। এরপর গত ১৯মার্চ সোমবার গভীর রাতে কালীবাড়ির বাঁধের কাছের গর্ত ভরাটের কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার মেশিনের প্লাস্টিকের পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত করে দুর্বৃত্তরা। লোহার সাবল গরম করে প্লাস্টিকের পাইপের কয়েক জায়গা ছিদ্র করা হয়। সর্বশেষ গত শনিবার রাতে ওই ক্লোজারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকজনকে হুমকি দিয়ে ড্রেজারের পাইপ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা।
    পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী জানান,গত ১৯মার্চ রাতে বৌলাই নদীর ড্রেজিং প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী খায়রুল মোমেন আহমদ ড্রেজারের পাইপ ছিদ্র করার বিষয়টি জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। চিঠিতে ড্রেজার মেশিনের নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির জন্য অনুরোধ করা হয়।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল হাসান জানান,বাঁধ-ক্লোজার ও ড্রেজার মেশিনের নিরাপত্তা জোরদার ও ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত বিচার আইনে ও জন গুরুত্ব বিবেচনায় তদন্ত করে আইনের আওতায় আনার থানার অফিসার ইনচার্জকে চিটি দেওয়া হয়েছে।

    পাশাপাশি ওই বাঁধের পাহাড়ার জন্য ইউপি সদস্য মনু মিয়াকে ১০জন পাহাড়াদারসহ বাধঁ ও ড্রেজারের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়।