সুনামগঞ্জের লাউড়গড়ে বিএসএফের হাতে ৪নৌকা আটক

    0
    312

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০৮ফেব্রুয়ারি,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃসুনামগঞ্জের লাউড়গড় সীমান্তে চলছে ওপেন চোরাচালান ও চাঁদাবাজি। এই সীমান্তের যাদুকাটা নদী দিয়ে কয়লা ও পাথর পাচাঁরের সময় ৪টি বারকি নৌকা আটক নিয়ে গেছে ভারতীয় বিএসএফ। আটককৃত নৌকার মূল্য অর্ধলক্ষাধিক টাকা। এব্যাপারে এলাকাবাসী ও বারকি শ্রমিকরা জানায়,প্রতিদিনের মতো গতকাল ০৭.০২.১৮ইং বুধবার রাত ৮টায় লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার কেরামতের নেতৃত্বে হাবিলদার হুমায়ুন ও এফএস মাহফুজ তাদের দুই সোর্স/লাইনম্যান চাঁদাবাজি মামলার আসামী লাউড়গড় গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আনসারুল হক ও সামসুল হকের ছেলে সেলিম মিয়াকে দিয়ে প্রতি বারকি নৌকা থেকে ৫০০টাকা করে উৎকোচ নিয়ে সীমান্তের ১২০৩নং পিলার সংলগ্ন যাদুকাটা নদী দিয়ে ১৫০টা বারকি নৌকা দিয়ে ৩০০জন শ্রমিককে ভারতের ভিতরে পাঠায় কয়লা ও পাথর পাচাঁর করার জন্য। রাত ৯টার সময় কয়লা ও পাথর পাচাঁরের খবর পেয়ে ভারতের শীলং জেলার ঘুমাঘাট ক্যাম্পের বিএসএফ এসে শ্রমিকদের ধাওয়া করে।

    এসময় বেশির ভাগ শ্রমিকরা নৌকা নিয়ে কোন রকম পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও ৪টি বারকি নৌকা আটক করে ফেলে বিএসএফ। এছাড়াও সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১৫০টি লড়ি দিয়ে ভারত থেকে ৯০০মে.টন পাথর পাচাঁর করে ১লড়ি(৬মে.টন) পাথর করে ২০০টাকা করে বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। আর পাচাঁরকৃত পাথরের মূল্য মূল্য ১৪লক্ষ ৬২হাজার ৫০০টাকা। এছাড়াও ১ বস্তা কয়লা পাচাঁরের জন্য ১০০টাকা,১টি গরুর জন্য ২২০০টাকা,১টি ঘোড়া জন্য ৩৫০০টাকা, ১টি সেইভ মেশিন থেকে ১২০০টাকা,১নৌকা বালির জন্য ১৫০০টাকা ও ভারতীয় নাসিরউদ্দিন বিড়ি,বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁরের জন্য সাপ্তাহিক ও মাসিক চাঁদা নেওয়া হচ্ছে।

    এই লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি কর্তৃক বিভিন্ন সময় দায়েরকৃত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি মামলার ১১জন আসামীকে বিজিবি ক্যাম্পেরর সোর্স/লাইনম্যানের দায়িত্ব দিয়ে প্রতিদিন কোটি টাকার মালামাল পাচাঁর করে লক্ষলক্ষ টাকা চাঁদা উত্তোলন করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর জোড়ালো অভিযোগ রয়েছে। আর চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফ তাড়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত ১১জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরও বন্ধ হয়নি এই সীমান্তের চোরাচালান।

    এব্যাপারে জানতে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্পের এফএস মাহফুজের মোবাইল নাম্বারের বারবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এই ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার কেরামতের সরকারী নাম্বারের ফোন করার পর তিনি ফোন রিসিভ করে কোন কথা না বলে কিছুক্ষণ পরে লাইন কেটে দেন। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক নাসির উদ্দিন বলেন,এব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।