সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার পাঁচটি বিদ্যালয়ে ফাটল ভবনে পাঠদান

    0
    233
    সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার পাঁচটি বিদ্যালয়ে ফাটল ভবনে পাঠদান
    সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার পাঁচটি বিদ্যালয়ে ফাটল ভবনে পাঠদান

    দিরাই(সুনামগঞ্জ), ১৮ মে : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার পাঁচটি বিদ্যালয়ে ফাটল দেখা দেয়ার পরও সেখানে ঝুঁকি নিয়েই চলছে দেড় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান। ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলো হল, দিরাই উপজেলার সুজানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুকুর নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ভাটিপাড়া ইউনিয়নের আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজা নগর ইউনিয়নের জাহানপুর রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং চরনারচর ইউনিয়নের চরনারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুজানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবনের দুটি কক্ষের ছাদের প্লাস্টার খুলে নিচে পড়ছে, অন্য ভবনের ছাদ দিয়েও বৃষ্টির পানি পড়ছে। ২০০৫-২০০৬ সালে নির্মিত একটি ভবনের মেঝে এক থেকে দেড় ফুট ডেবে গেছে। ভবনটি কালনী নদীর তীরবর্তী হওয়ায় ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্য ভবনগুলো ১৯৯৩-১৯৯৪ এবং ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে নির্মিত হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠাতে অভিভাবকদের মধ্যে ভয় বিরাজ করছে। অভিভাবক তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারি না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস ছাদিক জানান, ৩০ এপ্রিল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বিদ্যালয়টিতে ২৩২ জন শিক্ষার্থী। প্রতিবছরই শত ভাগ পাশের কৃতিত্ব অর্জন এই স্কুল। পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী কামরান হোসেন বলেন,‘সাভারের ভবন ধসের ঘটনা টেলিভিশনে দেখেছি। বিদ্যালয়ের ছাদের প্লা­স্টার খসে পড়া দেখে স্কুলে আসতে ভয় হয়।’ এদিকে শুকুরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিনসেডের একটি ভবনের সিলিং প্রায় পড়ে যাচ্ছে অবস্থা, উপরের টিন ফুটো, আকাশ দেখা যায়, বৃষ্টির পানি পরে ক্লাসে পানি জমে যায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, সাত বছর ধরে বিদ্যালয়ের এমন অবস্থা। একাধিকবার লিখিত ভাবে জানিছি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে। কোনো কাজ হয়নি। বিদ্যালয়ে ৪৬০ জন শিক্ষার্থী। এখানে প্রতিবছর শতভাগ পাশ করে। দিরাই উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রথিন্দ্রনাথ রায় উপজেলা ৫টি বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা করে দেখার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকেও বলা হয়েছে। দিরাই উপজেলা প্রকৌশলী ইফতেখার হোসেন জানান, সুজানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের ছাদ দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়লেও সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ নয়। ভবনগুলোর জন্য বরাদ্দ চেয়ে পাঠানো হয়েছে।