সারা দেশে সক্রিয় একটি বিশেষ অপরাধীচক্র

    0
    229

    আমার সিলেট  24 ডটকম,১৫নভেম্বরঃ রাজধানী সহ সারা দেশে সক্রিয় একটি বিশেষ অপরাধীচক্র। র‌্যাব-পুলিশের পরিচয়ে রাস্তা থেকে আটক করে অপহরণের পর তারা আদায় করছে মুক্তিপণ। অপহৃত ব্যক্তির সঙ্গে থাকা সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়ে কখনো ফেলে দেওয়া হচ্ছে রাস্তার পাশে, কখনো বা গহিন জঙ্গলে। আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনাও ঘটছে।আতঙ্কের বিষয় হলো, অপহরণকারী চক্রের কাছে থাকছে পুলিশ ও র‌্যাবের মতো পোশাক, হাতকড়া, এমনকি ওয়াকিটকিও। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। অপহরণকালে র‌্যাব-পুলিশের পরিচয় দিলে সাধারণ মানুষও আর কাছে ঘেঁষে না। চক্রটির উদ্দেশ্যও থাকে  তাই।

    বিশেষ এই অপরাধীচক্রটির তৎপরতা গত বছরজুড়ে ছিল ভয়ংকর পর্যায়ে। কিছুদিন বিরতি দিয়ে ওরা আবার তৎপর হয়ে উঠেছে। জানা যায় , ছিনতাইকারীরা পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব ইত্যাদি বাহিনীর পোশাক পরে মাইক্রোবাসে সুবিধাজনক জায়গায় অবস্থান নেয়। দলের অন্য সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংকে গিয়ে শিকারের অপেক্ষায় থাকে। কেউ মোটা অঙ্কের টাকা তুললে মোবাইলে ওই ব্যক্তির বর্ণনা মাইক্রোবাসে থাকা দলের অন্য সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়। টাকা নিয়ে ব্যাংক থেকে বের হওয়ামাত্র মাইক্রোবাসে থাকা ছিনতাইকারীরা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পিছু নেয়। সুবিধাজনক স্থানে পৌঁছার পর শত শত মানুষের সামনেই ওই ব্যক্তিকে মাইক্রোবাসে তুলে হাওয়া হয়ে যায়। পোশাক, হাতে বেতার যন্ত্র, অস্ত্র ও হাতকড়া থাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মনে করে সাধারণ মানুষও দূরেই থাকে। এসব ক্ষেত্রে ছিনতাইকারীদের প্রধান টার্গেট থাকেন ব্যবসায়ীরা।

    যদিও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছেবলে জানা যায়। কঠোর নজরদারির মধ্যেও কিছু কিছু ঘটনা ঘটছে। অপরাধী চক্রকে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা যায় ।একের পর এক অপহরণের ঘটনায় রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকার পাশাপাশি গাজীপুর জেলার নির্জন রাস্তা সিলেটের পাহাড়ি অঞ্চল ব্যবহার করা হচ্ছে বেশি। আর আটকে রাখা বা ভিকটিমকে ফেলে নিরাপদে কেটে পড়ার জন্য আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করছে গহিন বনাঞ্চলকে।ছিনতাইয়ের শিকারদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা অভিযোগ করেন, থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও পুলিশ মামলা নিতে চায় না। এমনকি প্রাথমিক তদন্ত করতেও আগ্রহ দেখায় না। উল্টো নানা প্রশ্ন করে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারকে হয়রানি করে।