সরকারি-বেসরকারিভাবে গ্রাম-আদালত সম্পর্কে প্রচারণা চালানো জরুরী

    0
    283

    আমারসিলেট24ডটকম,২৮জানুয়ারীঃ সরকারি-বেসরকারিভাবে গ্রাম-আদালত সম্পর্কে গ্রামীণ অঞ্চলে যথেষ্ট প্রচারণা চালানো জরুরী। স্থানীয় সরকার সাংবাদিক ফোরাম সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির আয়োজনে ও ম্যাস্-লাইন মিডিয়া সেন্টার এমএমসি’র সহযোগিতায় আজ মঙ্গলবার সকালে দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গ্রাম আদালতের ভুমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা উঠে আসে।

    ফোরাম সদস্য সাংবাদিক আকরাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খাঁন। সাংবাদিক রইসুজ্জামানের উপস্থাপনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সামস শামীম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফোরামের সহ-সভাপতি সাংবাদিক এমরানুল হক চৌধুরী, রেজাউল করিম, রাজন মাহবুব, এমএমসি’র তথ্য সহকারী নেছার উদ্দিন রিপন, ইউপি সচিব মৃনাল কান্তি দাশ, ইউপি সদস্য সুন্দর আলী, মিনার উদ্দিন আহমদ ও রুস্তুম আলী প্রমূখ।

    সভায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বলেন, হতদরিদ্র গ্রামীন জনগোষ্ঠীর কাছে স্বপ্ল খরচে ন্যায়বিচারের সুফল পেতে ‘গ্রাম আদালতের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। গ্রাম-আদালতের ধারণাটি অত্যন্ত চমৎকার হলেও আমাদের দেশে এই আদালতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা খুব একটা শরণাপন্ন হচ্ছেন না। গ্রাম-আদালত সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা না রাখা এবং বিচারিক কার্যক্রম ও আইন বিষয়ে এই আদালতের বিচারকদের জ্ঞানের স্বল্পতা গ্রাম-আদালতকে এখন পর্যন্ত কাক্সিক্ষত মানে উপনীত করতে পারেনি। সরকারি-বেসরকারিভাবে গ্রাম-আদালত সম্পর্কে গ্রামীণ অঞ্চলে তাই যথেষ্ট প্রচারণা চালালে এই আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা আসতে পারে। অন্যদিকে গ্রাম-আদালতে বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ ব্যক্তিদের যথাযথ আইনি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। নয়তো বিচারপ্রার্থীরা উল্টো রায় পেতে পারেন এবং আদালতের প্রতি তাদের অনীহা তৈরি হতে পারে।

    যদিও গ্রাম আদালতের কার্যক্রম এখনো আমাদের দেশে তুলনামূলকভাবে ধীরগতিতে প্রসারিত হচ্ছে, তারপরও যে আইনবলে একে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তার পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক এবং সুদূরপ্রসারী। তাই কম খরচে এবং কম সময়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে ন্যায়বিচার পৌঁছে দেয়ার যে মহান অভিপ্রায় নিয়ে এই আদালত গঠিত হয়েছে, তাতে অভীষ্ট হতে হলে অবশ্যই তৃণমূল পর্যায়ে গ্রাম আদালতের কার্যক্রমের প্রচার এবং এর ক্ষমতার সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এবং এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের বিচারকি ক্ষমতা মাত্র পঁচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছে সরকার। এতে বিচার ব্যবস্থায় কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়। এই ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করার দাবি সবা থেকে জানানো হয়। ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার বিভিন্ন গ্রামের ছোট-খাটো দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা স্থানীয় প্রশাসনে গ্রহণ করায় অনেক মামলা সমাধানে যোগ্য হলেও পরে তা আদালতে নিয়মিত মামলায় পরিণত হয়ে যায়। এতে এলাকার দুর্বল পক্ষ নি:স্ব হয়ে পড়ে।