শ্রীমঙ্গলে জনসচেতনতার লক্ষ্যে ধান কাটছেন সাংবাদিকরা

0
414
শ্রীমঙ্গলে জনসচেতনতার লক্ষ্যে ধান কাটছেন সাংবাদিকরা
শ্রীমঙ্গলে জনসচেতনতার লক্ষ্যে ধান কাটছেন সাংবাদিকরা

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: ঘুর্ণিঝড়ের ক্ষতির আশঙ্কায় বোরো ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে ৮০ ভাগ পাকা ধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলার নির্দেশ পেয়ে কৃষকরা ধান কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।এরই মধ্যে শ্রীমঙ্গলে দ্রুত ধান কেটে ঘরে তোলার জন্যে জন সচেতনতার লক্ষ্যে মাঠে ধান কাটছেন সাংবাদিকরা।

উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের খোশবাস গ্রামের মাঠ দিয়ে হাঁটলেই চোখে পরে চির চেনা সোনালী রঙের ধান ক্ষেতের বাহারি মনমাতানো কৃষকের স্বপ্ন ভরা মাঠ।  

শনিবার ৭ মে সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের খোশবাস গ্রামের মাঠ জুড়ে সরল-সহজ পরিশ্রমী মানুষের সোনালী রঙে ধান ক্ষেত দেখলে নয়ন জুড়ায়। শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের এক ঝাক সংবাদকর্মী কৃষক শাকির আহমদের পাকা ধান কেটে ঘরে তোলে দিতে সহযোগিতা করেন। 

এসময় কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কংকন মল্লিক, আসিদ্রোন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মসুদ মিয়াসহ অন্যান্যররা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী বলেন, সংবাদকর্মী শাকির আহমদের পাকা ধান কাটার সহযোগিতার পাশাপাশি আমরা কৃষকদের সচেতন করতে এসেছি যাতে খেতে পাকা ধান ঘুর্ণিঝড়ের আগেই কেটে ঘরে তোলেন। অবহেলার কারণে যেনো ধানের কোনো ক্ষতি না হয়। 

শ্রীমঙ্গল উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কংকন মল্লিক জানান, উপজেলায় পাকা বোরো ধান কাটা অনেকটা এগিয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা থাকায় ৮০ভাগ পাকা বোরো ধানগুলো কেটে ঘরে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আশিদ্রোন ইউনিয়নের ৫০৩ ব্লকে বোরোর ভালো ফলন হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে এ ব্লকের বোরো ফসলের কোনো ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। ঘুর্ণিঝড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বোরো ধান হাওরে কাটার উপযোগী হওয়ার পরও কাটা হচ্ছে না। দ্রুত ধান কেটে ঘরে তোলতে কৃষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

দলবেঁধে ধান কাটতে গিয়ে কেউ কেউ গান গাচ্ছেন, কেউ বা ছোটবেলার গল্প করছেন আর বোরো মৌসুমের ধান কাটা চলছে। পাকা ধানের সোনালী দানা কৃষকের স্বপ্নপূরণে উঁকি দিচ্ছে। অপরদিকে সুগন্ধ দানের গ্রানে ধান মাড়াই বাছাই ও সংরক্ষণের কাজে ব্যস্ত হয়ে সময় পড়ছে কৃষাণীরা। নতুন ফসল তুলে গোলা ভরবে কৃষক। এই আশায় বুক বেঁধে থাকেন তারা, মাঠে কৃষক আর উঠানে কৃষাণী বোরো ধান ঘরে তোলার সম্পূরকে এগিয়ে চলেছে। বছরের খোরাক মেটানোর পাশাপাশি এই ধান দিয়েই অন্যান্য খরচ মিটবে তাদের।

উপজেলায় ১০ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ উপজেলায় বোরোর ফলন হয়েছে ভালো।