শ্রীমঙ্গলে কীটনাশক প্রয়োগে আমন বীজতলার ক্ষতিসাধন

0
222
শ্রীমঙ্গলে কীটনাশক প্রয়োগে আমন বীজতলার ক্ষতিসাধন
শ্রীমঙ্গলে কীটনাশক প্রয়োগে আমন বীজতলার ক্ষতিসাধন

নূর মোহাম্মদ সাগর,শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আগাছানাশক কীটনাশক প্রয়োগ করে ১শ ৫০ কেজি আমন ধানের বীজতলা বিনষ্ট করে দিয়েছে দূবৃর্ত্তরা। উপজেলার আশীদ্রোন ইউনিয়নের টিকরিয়া ফটকী গ্রামে কৃষক এম এ মালেক রুবেল এর বীজতলায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই কৃষকের চলতি মৌসুমে ৪৫বিঘা আমন ধানের চারা রোপণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষক এম এ মালেক রুবেল গত ২৬ জুলাই লিখিত অভিযোগে ২জনের নাম উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলার আশীদ্রোন ইউ‘পি চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, কৃষক এম এ মালেক রুবেল ৪৫শতক জমিতে বীজতলায় ব্রি-৮০, জাতের ৫০ কেজি, ব্রি ৪৯, জাতের ৫০কেজি, বিরুইন জাতের ১ কেজি, চিনিগুড়া জাতের ১০ কেজি, স্বর্ণা-৫ জাতের ৩ কেজি বীজ বপন করে। বীজ গজানোর পর থেকেই এই এলাকার আনকার মিয়া, মো.আনোয়ার মিয়ার ২০-৩০টি ছাগল দিয়ে প্রায়ই ক্ষতি করে আসছিল। গত ২৫ জুলাই ৩টি ছাগল ধরে খোয়ারে দেই। এরই জের ধরে রাতের আধারে আগাছানাশক কীটনাশক প্রয়োগ করে। ফলে ধানের চারা লাল হয়ে মরে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী কৃষক এম এ মালেক রুবেল বলেন, ১শ ৫০ কেজি ধানের বীজতলা দিয়ে চলতি মৌসুমে ৪৫ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণের প্রস্তুতি নিয়েছি । রোপণ কাজ শেষে অবশিষ্ট চারা বিক্রি করে থাকি। কিন্তু বীজ গজানোর পর থেকেই আনকার মিয়া, মো.আনোয়ার মিয়ার ছাগল দিয়ে প্রায়ই ক্ষতি করে আসছিল। তাই গত ২৫ জুলাই ৩টি ছাগল ধরে খোয়ারে দেই। এরই জের ধরে গত ২৫ জুলাই রাতের আধারে আগাছানাশক প্রয়োগ করে আমার বীজতলা নষ্ট করে দিয়েছে। আমার ধানের চারা লাল হয়ে মরে গেছে। আমি কৃষি অফিসে গিয়ে ছিলাম, কৃষি কর্মকর্তা পরিক্ষা করে জানিয়েছেন চারা রোপন করা যাবে না। এতে করে আমার জমিতে ধানের চারা রোপণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
অভিযুক্ত আনকার মিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “কে বা কারা কীটনাশক দিয়ে ধানের চারা মারছে ? রুবেল আমরা দুই ভাইকে দায়ী করে। যারাই ধানের চারা মারছে ? তারা কি ভাত খায় না ? কেন এই ক্ষতি করলো, যারা এই কাজ করেছে তাদের খোঁজে বের করো।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, অভিযোগ আমরা পেয়েছি, কিন্তু প্রশাসন ছাড়া আমরা কিছু করতে পারবো না। প্রশাসনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান সাহেবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। গত ২৭ জুলাই নির্বাচন, ২৮ জুলাই আমাদের মিটিং থাকায় আমাদের সেখানে পরিদর্শনে যাওয়া হয়নি। মালেক আমাদের একজন কর্মী। আমাদের সেখানে ১৫বিঘা বীজ উৎপাদন প্রর্দশনী ছিল।
এবিষয়ে জানতে উপজেলার ৬ নং আশিদ্রোন ইউ‘পি চেয়ারম্যান রনেন্দ্র প্রসাদ বর্ধন (জহর) এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here