শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের দমনে সর্বশক্তি নিয়োগ

    0
    251

    আমার সিলেট  24 ডটকম,অক্টোবর দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের দমনে রাষ্ট্রের সর্বশক্তি নিয়োগ করা হবে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর। তিনি বলেন, শান্তি-শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে তারা দেশের শত্রু। এদের দমন করে জনগণের জানমাল-সম্পদ রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী যেকোনো অপশক্তির ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে সরকার থেকে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের হুইপ আ স ম ফিরোজের এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে আলাদা কোন চুক্তি স্বাক্ষরের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি জানান, আন্তজার্তিক আইন এবং বাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরীণ আইনে যে কোন নিরীহ ব্যক্তিকে হত্যা করা অপরাধ। তাই সীমান্ত হত্যা বন্ধে নতুন করে কোন চুক্তির দরকার হবে না। তিনি জানান, সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে দু’দেশের সীমান্ত রক্ষীদের মধ্যে সমঝোতা স্থাপন ও রক্ষাকরণের প্রয়োজন আছে। যে কোন হত্যাকাণ্ড অপরাধ হলেও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে মাঝে মাঝে অনাকাঙ্খিতভাবে ভারতের বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ধরণের ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পক্ষ হতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো হয়।

    সরকারি দলের গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে এ পর্যন্ত ১৮৪ জন বাংলাদেশী নাগরিক বিএসএফ কর্তৃক নিহত হয়েছে। তিনি আরো জানান, বর্তমান সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ক্রমশ কমে এসেছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সীমান্ত হত্যাকাণ্ড শুণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের কারাগারসমূহে বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দি আটক রয়েছে। দেশের কারাগারসমূহে ধারণ ক্ষমতা ৩২ হাজার ৩৭৬ জন, বর্তমানে সেখানে আটক রয়েছে ৬৭ হাজার ৩৭২ জন। তবে ধারণক্ষমতার চেয়ে ৬/৭ গুণ বেশি বন্দী কোন কারাগারেই নেই।

    বিএনপির সংরক্ষিত আসনের অনুপস্থিত সংসদ সদস্য মোসাম্মাৎ শাম্মী আক্তারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সীমান্তে মানব পাচারের ঘটনা ঘটে থাকে তবে চোরাচালানের চেয়ে মানব পাচারের সংখ্যা খুবই কম। গত জানুয়ারি হতে আগস্ট ২০১৩ পর্যন্ত পাচারকালে ৪২৭ জন নারী ও ১০৫ জন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া পাচারের সঙ্গে জড়িত ১৪জন মানব পাচারকারীকে আটক করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।