লড়াই করেই হেরেছে টাইগাররা

    1
    597

    আমারসিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,মার্চকোয়ার্টার ফাইনালেই শেষ হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। মেলবোর্নে ভারতের সঙ্গে ম্যাচে নিরপেক্ষতার প্রতীক আম্পায়াররাও প্রতিপক্ষ হয়ে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশের সামনে। প্রবল প্রতিকূলতার বিপরীতে লড়াই করে হেরেছে টাইগাররা। বৃহস্পতিবার ভারত ১০৯ রানে পরাজিত করে বাংলাদেশকে। আর এই জয়ে সেমিতে উঠল ভারত।

    প্রথমে ব্যাট করে আম্পায়ারের অনুকম্পায় পাওয়া রোহিত শর্মার সেঞ্চুরিতে ভারত ৬ উইকেটে ৩০২ রান করে। জবাবে ৪৫ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। রোহিত ম্যাচ সেরা হন।
    ৩০৩ রানের টার্গেটটা পাড়ি দেওয়া অসম্ভব ছিল না বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু এমন রান তাড়া করতে যেমন শুরু দরকার ছিল তা এনে দিতে ব্যর্থ হন তামিম, ইমরুল। দলীয় ৩৩ রানে পরপর দুই বলে আউট হন দুই ওপেনার। যাদবের বলে তামিম ক্যাচ দেন ধোনির হাতে। তিনি ২৫ রান করেন। ইমরুল (৫) রান আউট হন। তৃতীয় উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা জেগেছিল। তারা ৪০ রানের জুটি গড়েছিলেন।

    শামির বলে সীমানা দড়ির কাছে ধাওয়ানের বিতর্কিত ক্যাচে ফিরেন মাহমুদউল্লাহ। ধাওয়ানের পা দড়িতে স্পর্শ করার অংশটুকু রিপ্লেতে ‘জুম’ করে দেখেননি থার্ড আম্পায়ার স্টিভ ডেভিস। অথচ পরে দেখা গেছে ধাওয়ানের পা দড়িতে স্পর্শ করেছিল। মাহমুদউল্লাহ ২১ রান করেন। দলীয় ৯০ রানে সৌম্য সরকার আউট হলে চার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শামির বলে ধোনি দারুণ এক লো ক্যাচ ধরেন। সৌম্য ২৯ রান করেন।

    রানের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠা সাকিব ১০ রান করে জাদেজার শিকার হন। মুশফিক-সাব্বিরের জুটি ৩৫ রানেই বিচ্ছিন্ন হয়। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র প্রথম বলেই মুশফিক আকাশে ক্যাচ তুলে আউট হন। তিনি ২৭ রান করেন। ৭ম উইকেটে ৫০ রানের জুটি গড়েন নাসির-সাব্বির। ৩৫ রান করে নাসির জাদেজার বলে রোহিতের হাতে ক্যাচ দেন। শেষ দিকে সাব্বির ৩০ রান করে আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ভারতের পক্ষে যাদব ৪টি, শামি-জাদেজা ২টি করে উইকেট পান।

    এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভারতের শুরুটা ভালো ছিল। ৭৫ রানের ওপেনিং জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব। ইনিংসের ১৭তম ওভারে সাকিবের বলে শেখর ধাওয়ানকে (৩০) স্ট্যাম্পিং করেছেন মুশফিকুর রহিম। পরের ওভারেই রুবেল হোসেন ফেরান ভারতের ব্যাটিংয়ের প্রাণ ভোমরা বিরাট কোহলিকে (৩)।

    দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল ভারত। আজিঙ্কা রাহানেকে (১৯) ফিরিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ তুর্কি তাসকিন। তখনই ভালোভাবে ভারতের রানের লাগাম টেনে ধরে বাংলাদেশ। ১১৫ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। ৪র্থ উইকেটে ভারতকে খোলস মুক্ত করেন এক প্রান্ত আগলে থাকা রোহিত শর্মা ও সুরেশ রায়না। রানের চাকাও সচল করেন তারা।

    রোহিত শর্মার সপ্তম সেঞ্চুরিটা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রয়েছে। রুবেলের করা ৪০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ আউট হয়েছিলেন ৯০ রানে থাকা রোহিত। কিন্তু কোমরের উপরে ছিল ভেবে আম্পায়ার ডেকে বসেন নো বল। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে, বল নো ডাকা একটা পক্ষপাত দুষ্ট ও প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্ত।

    রোহিত-রায়নার ১২২ রানের জুটি ভাঙেন মাশরাফি। ৩৪তম হাফ সেঞ্চুরি করা রায়না ৫৭ বলে ৬৫ রান (৭ চার, ১ ছয়) করেন। রোহিতের বিতর্কিত ইনিংসটি শেষ হয় ৪৭তম ওভারে। তাসকিন বোল্ড করেন তাকে। রোহিত ১২৬ বলে ১৩৭ রান (১৪ চার, ৩ ছয়) করেন। শেষ দিকে ধোনিও তাসকিনের তৃতীয় শিকার হন। রবীন্দ্র জাদেজা অপরাজিত ২৩ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন ৩টি, মাশরাফি-রুবেল-সাকিব ১টি করে উইকেট নেন।