রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের প্রমাণ মিলেছে : দায়ীকে আসাদ বাহিনী না বিদ্রোহীরা ?

    0
    220

     আমার সিলেট ডেস্ক, ২৫ আগস্ট  : আন্তর্জাতিক মেডিকেল দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার্স সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগে সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুর প্রমাণ পেয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি তিন হাজার ৬০০ রোগীর মধ্যে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের কারণেই ৩৫৫ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালের তথ্য মতে, রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের পর ২১ আগস্ট দামেস্কের তিনটি সরকারি হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়। এছাড়া রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের আরও অনেক প্রমাণ রয়েছে।

    পশ্চিমা দেশগুলো এজন্য সরকারকে দায়ী করছে। অন্যদিকে সরকার দায় চাপাচ্ছে বিদ্রোহীদের উপর। গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়
    গণমাধ্যমে জানানো হয় দাতব্য সংস্থা মেডিসিনস সানস ফ্রন্টিয়ার্স এমএসএফের দাবি, হাসপাতালের কর্মচারীদের বর্ণনা মতে রোগীদের স্নায়বিক সমস্যা, লালা নিঃসরণ, দৃষ্টি ও শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সমস্যা দেখা গেছে।

    দাতব্য সংস্থাটির দাবি, রাসায়নিক বিষক্রিয়াজনিত লক্ষণের কারণেই এমনটি হয়েছে। এমএসএফ আরও জানায়, যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিক কারণ সম্পর্কে বৈজ্ঞানিকভাবে নিশ্চিত না করা যাবে, ততক্ষণ এটা বিষক্রিয়াই। এদিকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কারণে প্রায় এক হাজার মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের আহ্বান জানাতে সিরিয়া পৌঁছেছে জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক শাখার প্রধান অ্যাঞ্জেলা ক্যানের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল।
    আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে প্রতিনিধিদলটি রাজধানী দামেস্কের বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গত বুধবারের ওই ঘটনার জন্য ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বাহিনীকে দায়ী করা হলেও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও রাশিয়া। রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের মতো গভীর উদ্বেগের ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ বিবেচনার কথা ভাবছেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
    অন্য দিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যমগুলো শনিবার দাবি করেছে, বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্রের এজেন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে এখনও বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। আর পেন্টাগন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভূ-মধ্য সাগরে সিরিয়া উপকূলের কাছে চতুর্থ ক্রুজ-মিসাইলবাহী যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েনসহ শক্তি বৃদ্ধি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আসাদ বাহিনী কর্তৃক রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার প্রমাণিত হলে পরবর্তী পদক্ষেপের প্রস্তুতি হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।