রাজধানীতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ১৬ মারাত্মক জখমসহ আহত শতাধিক

0
261

আমার সিলেট রিপোর্টঃ রাজধানী ঢাকার সিদ্দিক বাজার নর্থ সাউথ রোডস্থ মার্কেটের সাবেক ক‍্যাফে কুইন হোটেল এর বিল্ডিং এ ভয়াবহ বিষ্ফোরণ এর ঘটনা ঘটেছে।আজ মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে ১৬ জন নিহত ও শতাধিক লোক আহত হওয়ার সংবাদ নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ভয়াবহ বিস্ফোরণে কতটা নির্মম দৃশ্য!

নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেনঃ

১. কুমিল্লার মেঘনা থানার মো. মমিনের ছেলে মো. সুমন (২১), তিনি ঢাকার বংশালের সুরি টোলাইয়ে থাকতেন। তার বাবা মমিন জানান, ১০-১২ দিন আগে তিনি কাতার থেকে দেশে ফিরেছেন।

২. বরিশালের কাজির হাট থানার চর সন্তোষপুর গ্রামের মৃত দুলাল মৃধার ছেলে ইসহাক মৃধা (৩৫)। তিনি ইসলামপুরে কাপড়ের ব্যবসা করতেন, থাকতেন নারায়ণগঞ্জের ঢাকেশ্বরীতে।

৩. পশ্চিমপাড়া যাত্রাবাড়ীর মোশাররফ হোসেনের ছেলে মুনসুর হোসেন (৪০)।


৪. আলু বাজারের ৯৭ লুৎফর রহমান লেনের মৃত মো. হোসেন আলীর ছেলে মো. ইসমাইল (৪২)।

৫. চাঁদপুরের মতলবের বিল্লাল হোসেনের ছেলে আল আমিন (২৩)।

৬. কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ চৈনকুটিয়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে রাহাত (১৮)।

৭. চকবাজার থানার আবুল হাসেমের ছেলে মমিনুল ইসলাম (৩৮)।

৮. চকবাজারের মমিনুল ইসলামের স্ত্রী নদী বেগম (৩৬)।

৯. মুন্সিগঞ্জের সৈয়দপুর গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিন আকনের মাঈন উদ্দিন (৫০)।

১০. বংশালের ৪৭ নং কে পি ঘোষ স্ট্রিটের ইউনুছ হোসেনের ছেলে নাজমুল হোসেন (২৫)।

১১. মানিকগঞ্জ সদরের চর বেউথা গ্রামের মৃত শেখ সাহেব আলীর ছেলে ওবায়দুল হাসান বাবুল(৫৫)।

১২. মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার বালুয়া কান্দি গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪)।

১৩. বংশালের ১৮/১ আগামাসি লেনের মৃত আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী আবৃতি বেগম(৭০)।

১৪. রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীর হাজারীবাগের মো. ইদ্রিস (৬০)। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন।

১৫. মো. হৃদয় (২০)। তিনি সিদ্দিক বাজারের জাবেদ গলিতে থাকতেন। চাকরি করতেন স্যানেটারি দোকানে।

১৬. মো. সম্রাট। তিনি বংশালে পরিবার নিয়ে থাকতেন। কাজ করতেন দুর্ঘটনাকবলিত ভবনের নিচতলায়।

জানা যায়, মার্কেটের নীচতলা ও দোতলায়,পাশের বিল্ডিং এ ব্রাক ব্যাংকসহ আশেপাশের অনেক সেনেটারি দোকানেও ব‍্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিষ্ফোরণের কারণ এখনো জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের মোট ১১টি ইউনিট উদ্ধার কাজ করছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক ও ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ,ডিজি র‍্যাব ও সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট। বিধ্বস্ত ভবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ জনকে।

অপরদিকে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।