আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,০২এপ্রিল,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার শহরের বড়হাটে নিহত তিন ‘জঙ্গির’ লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
শনিবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ তিনটি নিয়ে আসা হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক পলাশ রায়।
চিকিৎসক জানান, এখানে লাশগুলোর ময়নাতদন্ত হবে। তাদের ডিএনএ পরীক্ষার আলামতও সংগ্রহ করা হবে।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টায় বড়হাটে অভিযান শেষ হয় ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’, যার নেতৃত্বে ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিশেষ অস্ত্র ও কৌশল ইউনিট (সোয়াট)।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম অভিযান শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, বড়হাটে নিহতদের মধ্যে একজন নারী, বাকি দুজন পুরুষ। চারদিন ধরে ঘিরে রাখা জঙ্গি আস্তানার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
অভিযান শেষ হলেও চতুর্থ দিনের মতো জঙ্গি আস্তানার আশপাশে বলবৎ ছিল ১৪৪ ধারা।
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা থেকে মৌলভীবাজার পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বড়হাট এলাকায় একটি বাড়ি এবং শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে ফতেপুরের নাসিরপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানা ঘিরে রাখে পুলিশ।
নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানা গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সোয়াত দখলে নিলেও বড়হাটের আস্তানায় এখনো সোয়াট অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গি আস্তানা বাড়ি দুটির মালিক লন্ডন প্রবাসী সাইফুল ইসলাম।
নাসিরপুরে সাতটি মরদেহ পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, যার চারটিই শিশু। তাদের লাশের ময়নাতদন্তও হয়েছে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে। তবে সেখানে লাশগুলো শনাক্তের জন্য রাখলেও কেউ এখনো তা করেনি। ফলে সেখান থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।