মধুবন মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ :লিডিং ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস সরিয়ে নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সভা আজ

    0
    451

    মধুবন মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ :লিডিং ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস সরিয়ে নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সভা আজ

    সিলেট, ২৭ এপ্রিল: সাভারের ঘটনার মতো বিপর্যয় এড়াতে সিলেটে বেসরকারী লিডিং ইউনিভার্সিটির হাজার হাজার শিক্ষার্থী আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।

    সিলেট নগরীর মধুবন সুপার মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে মার্কেটের ৪র্থ ও ৫ম তলায় অবস্হিত  বেসরকারী লিডিং ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস সরিয়ে নিতে বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে।গঠন করা হয়েছে সংগ্রাম পরিষদ।আজ শনিবার সকালে সাধারণ সভাঅনুষ্টিত হবে।

    বৃহস্পতিবার আন্দোলনের ডাক দিয়ে শিক্ষার্থীরা জানায়, ভবনটি দেবে গেছে। একাংশ ঢালু হয়ে গেছে।টাইলস দিয়ে ফাটল ঢেকে দেওয়া হয়েছে।এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না।একই সঙ্গে সবধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

    মধুবন মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ :লিডিং ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস সরিয়ে নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সভা আজ
    মধুবন মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ :লিডিং ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস সরিয়ে নেয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সভা আজ

    এনিয়ে একটি লিফলেট ছেপে বিতরণ করে শিক্ষার্থীরা।এতে ‘এক দফা এক দাবি’ সম্বলিত নতুন ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছে তারা।

    শনিবার অবশ্যই ক্যম্পাস স্হানান্তরের সুনিদিষ্ট তারিখ জানাতে হবে।লিফলেটের শুরুতে লেখা হয়েছে- “রানা প্লাজার শ্রমিকদের মত করুন পরিনিতি যেন আমাদের ভাগ্যে না ঘটে’’। নতুন ক্যাম্পাসর দাবিতে সাধারন সভা।

    অতীতের কামাল বাজার, মালনীছড়া, রংমহল টাওয়ারের মতো মিথ্যা আশ্বাস শুনতে চায় না শিক্ষার্থীরা বলে লিফলেটে উল্লেখ করা হয়।শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে জানায়, ক্যাম্পাস ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ভবন থেকে সরিয়ে না নিলে ২০১৩ সালে নতুন সেমিস্টারে ছাত্র ভর্তি নিতে দেওয়া হবে না ।

    শাবিপ্রবির পুর ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তারা অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছেন, এই মূহুর্তে সম্পূর্ণভাবে বসবাস বা ব্যবহারে অযোগ্য অবস্থায় রয়েছে মধুবন মার্কেট।এটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।

    লিডিং ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কমনরুমে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা না দিলে সভা থেকে ক্লাস ও শিক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

     

    গ্যাস অনুসন্ধান : বিশ্বনাথে শিক্ষাপ্রতিষ্টানসহ অর্ধশতাধিক ঘর ফাটল

    বিশ্বনাথ, ২৭ এপ্রিল : সিলেটের বিশ্বনাথে গত তিন মাস ধরে গ্যাস অনুসন্ধান জরিপ শুরু করে শেভরন। গ্যাস জরিপকালে এলাকার বিভিন্ন জমিতে গর্তে করে বমপিং করা হয়। এতে এলাকার অনেকের বাড়ি-ঘর,মসজিদ-মাদ্রাসা ফাঁটল দেখা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন কর্তৃপক্ষে কে বিষয়টি অবহিত করেও কোন ফল পাননি। বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্যাস অনুসন্ধানকারিরা এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় অলংকারি ইউনিয়নের ৮/১০টি গ্রামের স্থানীয় জনতা ক্ষতিপূরণের দাবিতে শেভরণের ছয়টি গাড়ি খুরমা নামক স্থানে আটক করে। এসময় তারা পনাউলা-রামপাশা-কামালাবাজার সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এরির্পোট বিকেল সাড়ে ৪টায় লেখা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ ছিল। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
    জানাগেছে, উপজেলার অলংকারি ইউনিয়ন,খাজাঞ্চি ইউনিয়ন ও লামাকাজি ইউনিয়নে শেভরন গ্যাসের অনুসন্ধান শুরু হয়। প্রথমে অলংকারি ইউনিয়নের খুরমা গ্রাম থেকে এ জরিপ শুরু হয়েছে। শেভরনের হয়ে জরিপ কাজ চালাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানী জিও কাইনেটিক। গত মার্চ মাস থেকে বিশ্বনাথ এলাকায় মাটির গর্তে বমপিং কার্যক্রম শুরু হয়। এলাকাবাসির সুযোগ সুবিধার কথা চিন্তা না করে নিজের ইচ্ছামতে জিও কাইনেটিক গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। অনুসন্ধানের আওতাধীন এলাকার সাধারণ মানুষ নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
    উপজেলার তিন ইউনিয়নে জরিপ কাজ চালালেও স্থানীয়দের বিষয়টি অবহিত না করে কোন লিখিত চুক্তি এবং ক্ষতিপূরণ ছাড়াই বিভিন্ন ফসলি জমি ও বাড়িঘরের আশপাশে ৭১ ফুট মাটির নিচে বোমা পুঁতে রেখে তার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। গত সোমবার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের বন্ধুয়া গ্রামে শুকুর আলীর বাড়ি থেকে প্রায় দুইশত গজ দূরে আনুমানিক দুই কেজি ওজনের শক্তিশালি বোমার বিস্ফোরণ ঘটনানো হয়। এভাবে গ্রামের আবদুল্লার বাড়ির পাশে বিস্ফোরন ঘটানো হয়। বোমার কম্পনে মাটিসহ বাড়িঘর কেঁপে উঠলে ভূকম্পন শুরু হয়েছে এমন আতংকে স্থানীয়রা চিৎকার করে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরে জানতে পারেন ভুমিকম্প নয়। এরপর এলাকার কয়েকটি বাড়িঘরের দেয়াল-ছাদ ফাটল ধরে।
    একইভাবে অলংকারি ইউনিয়নের বড় খুরমা ইসলামী একাডেমী ও মাদ্রাসা, বড় খুরমা গ্রামের খোয়াজ আলী, জমির আলী, আশরাফ আলী, সানুর আলী, মখবুল হোসেন, আবদুর রাজ্জাক, ছোরাব আলী, বন্ধুয়া গ্রামের মন্তাজ আলী, সোনাফর আলী, ইলিয়াস আলী, মানিক মিয়া, ফারুক মিয়া, চান মিয়া, কাচা মিয়া, সোনামিয়া, আবদুল করিম, ইছবর আলী, লিলু মিয়া, রুমন আলী, সিদ্দেক আলী, তজম্মুল আলীসহ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক ঘর ফাটল দেখা দেয়। এতে এলাকাবাসি ক্ষতিপূরণ দাবিতে শেভরন কোম্পানির ছয়টি গাড়ি আটক রেখে রাস্তা অবরোধ করেন।
    ক্ষতিগ্রস্থ বন্ধুয়া গ্রামের শুকুর আলী বলেন, ফাটল দেখার পর শেভরন কোম্পানীর মিশিন আটকিয়ে রাখেন। পরে কর্তৃপক্ষের ক্ষতিপুরণের আশ্বাসে ফিরিয়ে দিলেও কাজ করতে দেয়নি।
    বড় খুরমা গ্রামের মন্তাজ আলী, সোনাফর আলী জানান, জমিতে বমপিং করায় বাড়ি-ঘর ফাটল দেখা দেয়। কিন্তু বিষয়টি কর্তৃপক্ষে অবহিত করা হলেও তারা কোন ক্ষতিপুরণ না দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ছয়টি গাড়ি আটক করে স্থানীয় জনতা।
    ইসলামী একাডেমী ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাবিবুল হক বলেন, গ্যাস অনুসন্ধানকালে বমপিংকালে মাদ্রাসার ভবন ফাটল দেখা দেয়।
    খাজাঞ্চি ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়টি মৌখিকভাবে অবহিত করা হলে কর্তৃপক্ষে এলাকাবাসি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক বসার কথা বলি। কিন্তু এরপর তারা আর কোন যোগাযোগ করেনি।
    তিনি বলেন, এলাকাবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ঘরের দেয়াল ফাটল রয়েছে।
    অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিলু মিয়া বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনামনি চাকমা বলেন, আমাদের এলাকায় গ্যাস অনুসন্ধানের প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কেউ লিখিতভাবে কোন অভিযোগ করেননি। তিনি বলেন, ফাটল গুলো দেখে মনে হচ্ছে অনেক আগের। আজ বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে এলাকাবাসি শেভরনের কয়েকটি গাড়ি আটক করে সরকারি কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে। তবে তদন্ত করে যদি গ্যাস অনুসন্ধানকালে ফাটল হয়ে থাকে তাহলে সরকারিভাবে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।

    বিশ্বনাথে শেভরণের ৫টি গাড়ি আটক :সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

    বিশ্বনাথ, ২৭ এপ্রিল: সিসমিক জরিপের সময়(ত্রিমাত্রিক ভূত্বাত্তিক জরিপ)বাড়ি ঘর, মসজিদ ও মাদ্রাসায় ফাটল দেখা দেওয়ার অভিযোগে বিশ্বনাথে গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানী শেভরণের ৫টি গাড়ি আটক করে স্থানীয় লোকজন।

    এসময় তারা পনাউল্লা-রসুলগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।বৃহস্পতিবার দুপর ১২ টা থেকে তারা বিক্ষোভ শুরু করে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ চলে।

    বিক্ষোভকারী লোকজন জানান,সম্প্রতি শেভরণের গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ও অলংকারী ইউনিয়নে তারা সিসমিক জরিপ চালায়।

    এ সময় ভূগর্ভে বিস্ফোরণ ঘটালে খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পূর্ব বন্ধুয়া, পশ্চিম বন্ধুয়া এবং অলংকারী ইউনিয়নে পশ্চিম বড় খুরমা গ্রামের ৩০-৪০টি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। এছাড়া পূর্ব বন্ধুয়া মসজিদ ও খুরমা ইসলামি একাডেমিতেও ফাটল দেখা দেয়।

    শেভরণ কর্তৃপক্ষ তাদের ক্ষতিপুরণের আশ্বাস দিলেও কাজ শেষ পর্যায়ে চলে আসলেও কোন ক্ষতিপুরণ দেয়া হচ্ছেনা।
    এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় পনাউল্লা-রসুলগঞ্জ সড়কের অলংকারি ইউনিয়নের বড় খুরমা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী শেভরণের ৫টি গাড়ি আটকে রাখে তারা।

    বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনামনি চাকমা জানান, কিছু লোক শেভরণের গাড়ি আটকিয়ে সড়ক অবরোধ করছে। তাদের সাথে আলোচনা করে সমস্যার সমাধানে চেষ্টা চলছে।

    বিশ্বনাথ থানার এসআই সায়েদুর রহমান জানান, বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করলে তারা তা মানেনি। এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে রাস্তা থেকে তাদেরকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।এ ব্যাপারে শেভরণের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।