বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দিক থেকে বাংলাদেশ এবার দ্বিতীয় অবস্থানে

    0
    243

    ঢাকা, ১৪ আগস্ট : বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সার্ক দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২য় সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে এসেছে।মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে সংরক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্বাধীনতার পর এই প্রথম ১ হাজার ৬০৩ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যদিয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের দিক থেকে বাংলাদেশ এবার দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। সার্ক দেশগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভারত। তাদের রিজার্ভ প্রায় তিন হাজার কোটি ডলার। তার পরই বাংলাদেশ। আর তৃতীয় অবস্থানে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলারের কিছু বেশি। প্রসঙ্গত ডলারের চাহিদা না থাকায় মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ৭৭ দশমিক ৭৫ টাকা। এক বছর ব্যবধানে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকা ৭ শতাংশের বেশি মূল্যমান সঞ্চয় করেছে।

    এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবিনিউজকে জানান, স্বাধীনতার পর রিজার্ভের এ পরিমাণ বাংলাদেশের ইতিবাচক অর্থনীতির বড় প্রমাণ যেমন। তেমনি আমাদের অর্থনীতি যে স্থিতিশীল ও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে, এটি তারও প্রমাণ।
    বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চলতি বছরে কয়েক দফায় শত কোটি ডলার রিজার্ভ বেড়েছে। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন রিজার্ভ এন্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান রিজার্ভ বৃদ্ধির কারণ উল্লেখ করে বলেন, রপ্তানিতে একটা বড় উল্লম্ফন হয়েছে। রেমিট্যান্সেও ভালো প্রবৃদ্ধি আছে। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমেছে। খাদ্যপণ্য আমদানিও নেই। এতে রিজার্ভ বেড়েছে।
    আমদানি ব্যয় কমে যাওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ রিজার্ভ দিয়ে দেশের সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।  দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, এখন অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছেই পর্যাপ্ত ডলার রয়েছে। কারও কারও সংরক্ষণ সীমাও অতিক্রম করছে। তারা ডলার বিক্রি করছে। কিন্তু ক্রেতা কম। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংককে মাঝে মাঝেই নিয়ম অনুসারে ডলার কিনতে হচ্ছে।
    মুদ্রাবাজারে ডলারের তেমন চাহিদা নেই। টাকা দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। মূল্যমান খোয়াচ্ছে মার্কিন ডলার। টাকা শক্তিশালী হলে প্রবাসী আয় রেমিট্যান্স ও রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মধ্য মেয়াদে এ দুই পক্ষই নিরুত্সাহিত হয়। যে কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে ডলারের মূল্যমান ধরে রাখার একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাজারভিত্তিক ব্যবস্থা হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটা প্রচ্ছন্ন তত্পরতা থাকে ডলারের মূল্য ধরে রাখার।