আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,১৪জুলাই,এম ওসমান, বেনাপোল : বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতে পাচারকালে আবারও ৫টি স্বর্ণের বারসহ জালাল আহম্মেদ সেলিম (৪৪) নামে এক পাসপোর্ট যাত্রীকে আটক করেছে কাষ্টমস শুল্ক গোয়েন্দারা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় কাস্টমস অফিসের সামনে থেকে শুল্ক গোয়েন্দারা গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করে।
আটককৃত স্বর্ণপাচারকারী পাসপোর্ট যাত্রী জালাল আহম্মেদ সেলিম শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সেতু মাতবর কান্দি গ্রামের ইয়াকুব আলী মুন্সির ছেলে। তার পাসপোর্ট নং-এ এফ- ৭৫৯১৩০৬। আটককৃত স্বর্ণের মূল্য প্রায় ২২ লাখ টাকা।
বেনাপোল কাষ্টমসের শুল্ক গোয়েন্দার উপ-পরিচালক আব্দুস সাদিক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি শুক্রবার সকালে বেনাপোল কাষ্টমস চেকপোষ্ট দিয়ে একটি স্বর্ণের চালান ভারতে পাচার হবে। সকাল থেকে শুল্ক গোয়েন্দার কয়েকজন সিপাহী ইমিগ্রেশন ও নো-ম্যান্সল্যান্ডে গোপণে কাজ করে আসছে। এসময় কাস্টমস অফিসের সামনে ভারতে যাওয়া জন্য লাইনে দাড়িয়ে থাকা সেলিমকে সন্দেহ হয়। পরে সন্দেহভাজন সেলিমকে সিপাহী মো: ইমাম হোসেন আটক করে কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা অফিসে নিয়ে আসে। শুল্ক গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর মোতালেব হোসেনসহ উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে তার শরীরে তল্লাশী চালায়। তল্লাশী করে তার ডান উরুতে বিশেষভাবে বাধা অবস্থায় ৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের ওজন ৫’শ ৮০’গ্রাম। আটক স্বর্ণ পাচারকারীকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ এবং স্বর্ণের বার গুলি কাস্টম হাউসে জমা দেওয়া হয়েছে।
আটককৃত জালাল আহম্মেদ সেলিম জানান, ঢাকার জিল্লুর রহমান নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এই স্বর্ণের বারগুলি কোলকাতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। জিল্লুর রহমান দীর্ঘদিন যাবত স্বর্ণের ব্যবসা করে আসছে।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেনাপোল সীমান্ত থেকে বাংলাদেশী পাসপোর্টযাত্রীর নিকট থেকে ৩২ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে বাংলাদেশী পাসপোর্ট যাত্রীর নিকট থেকে ভারতের কাষ্টমস ২০ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করে।