বেগম খালেদা জিয়ার আলটিমেটাম প্রত্যাখ্যান করলো আওয়ামী লীগ

    0
    399
    স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
    স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

    ঢাকা, ০৫ মে : প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম প্রত্যাখ্যান করলো আওয়ামী লীগ। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এ কথা জানান। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার। আজ রাবিবার ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনোদিনই কারো কোনো আলটিমেটাম গ্রহণ করেনি। এবারও গ্রহণ করা হবে না।  
    হেফাজতকে রাজাকার-আল বদরের নতুন প্রজন্ম বলেও উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা তাদের ঢাকায় সমাবেশ করতে দিয়েছি, এরপর ঘর থেকেই বের হতে দেব না।  কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না করে সমাবেশ শেষ করে ঢাকা ছাড়তে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সরকার বরদাশত করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এবার ঢাকায় আসতে দিয়েছি, এরপর ঢাকায় আসতেও দেবো না, ঘর থেকে বের হতে দেবো না। সরকার কিন্তু আর বরদাশত করবে না।
    সৈয়দ আশরাফ বলেন, আওয়ামী লীগ কোনোদিনই একদলীয় নির্বাচন করেনি। ভবিষ্যতেও এক দলীয় নির্বাচন করবে না। শনিবার শাপলা চত্বরে খালেদা জিয়া বক্তৃতা সম্পর্কে তিনি বলেন, তার ভাষণে অনেক মিথ্যাচার করেছেন। দেশের মানুষ বিএনপি ও খালেদা জিয়ার ইতিহাস জানে। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান চায়। কিন্তু অত্যন্ত দু:খজনক খালেদা জিয়া আলটিমেটাম প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের প্রস্তাব নাকচ করেছেন।
    সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ৯৬ সালে এক দলীয় নির্বাচন করেছে। সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশজুড়ে ছিল সেনাবাহিনী। তারপরেও মানুষ সেদিন ভোট দিতে আসেনি। নির্বাচনে ৭০ জন মানুষকে গুলি হত্যা করেছে। ৩০ ভাগের বেশি মানুষ ভোট দেয়নি। ২০০১ সালের নির্বাচন নিয়ে আমাদের অনেক অভিযোগ ছিল। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেখাবে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করেছে। তা পাক বাহিনীর বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। রাতের বেলা সেনাবাহিনী গ্রামের পর গ্রাম আক্রমণ করেছে। তারপরও আমরা নির্বাচন থেকে সরে যায়নি।