বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ

    0
    398

    ঢাকা, ২২ এপ্রিল : আজ ২২ এপ্রিল সোমবার, বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। দিবসটির ৪২তম বার্ষিকী আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো নানা কর্মসূচীর মধ্যে আজ এ দিবসটি পালন করা হচ্ছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা ও ভালোবাসা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দিবসটি পালিত হয়। প্রকৃতি যখন বিরূপ হয় মানুষ তখন অসহায় হয়ে পড়ে। প্রকৃতিকে কাবু করার চেষ্টা মানুষের মধ্যে অনেকদিন থেকেই। সবক্ষেত্রে সফল হয়েছে এমন কথা বলা যাবে না। আবার উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে এমনও বলা যাবে না। তেমনি একটা অবস্থায় আবার এসেছে ধরিত্রী দিবস। মানুষকে নতুন করে ভাবতে হবে আমরা প্রকৃতির সন্তান। মাতৃশ্রদ্ধা যেন পায় প্রকৃতি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘মোবিলাইজ দ্য আর্থ’। 

    বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ
    বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ

    ধনধান্য পুস্পেভরা অপূর্ব সুন্দর এ ধরিত্রী! এখন পর্যন্ত মুধু এ গ্রহেই পাওয়া গেচে প্রাণের অস্তিত্ব। এখানে রয়েছে মানুষসহ জানা অজানা কোটি কোটি পজাতির আবাস। এর বুকেই চলে আমাদের সব কর্মকাণ্ড। অথচ আমাদের প্রয়োজন মেটাতে তাকে প্রতিনিয়ত বিবক্ত করে চলেছি। আমাদের বাসভূমিকে এ আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে পালিত হয় বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। দিবসটির সঙ্গে মহৎ গেলর্ড নেলসন জড়িয়ে রয়েছেন। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট সদস্য। তারই হাত ধরে ১৯৭০ সালে পরিবেশ আন্দোলনের সূচনা। তিনি এর নাম দিয়েছিলেন ‘ইনভাইরনমেন্টাল টিচ-ইন’। এ আন্দোলনের ঢেউ লাগে বিশ্বনেতার গায়েও। তাদের প্রস্তবনায় জাতিসংঘ ১৯৯২ সালে স্টক হোমে ‘হিউমেন ইনভারইরনমেন্ট’ শীর্ষক এক সম্মেলনের আয়োজন করে।
    এসব উদ্যোগের ফল হিসেবে ১৯৯০ সালে আমরা পাই বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। দিবসটি পালনে বেছে নেয়া হয়েছে ২২ এপ্রিলকে। বিশ্বের প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিই দিবসটি উদ্দেশ্য। বিশ্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগও এ দিবস। প্রতিনিয়ত জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। অর্থাৎ গোটা বিশ্বেই বাড়ছে পরিবেশ বিপর্যয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব আজ হুমকির মুখে। অন্যদিকে চলছে আমাদের প্রয়োজন মেটানোর দায়।সব মিলিয়ে আমরা হারাচ্ছি বিশ্বের প্রকৃতিক পরিবেশ। ফলে ক্রমে বসবাসের অনুপেযুক্ত হয়ে উঠেছে। অথচ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে হলে আমাদের ধরিত্রীকে বাঁচাতে হবে। তাকে দিতে হবে মাতৃশ্রদ্ধা।
    জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশের শীর্ষ রয়েছে আমাদের দেশ। যদিও জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী এক দেশের কর্মকাণ্ড যেন অন্যদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি না করে সে দিকে লক্ষ্য রাখা নিজ নিজ দেশের দায়িত্ব। এ বিষয়ে সরকারকে সচেতন হতে হবে। আর বিশ্বে প্রতি ভালোবাসা থেকে ব্যক্তিজীবনে আমাদের অবস্থান থেকে আমরাও ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে ধরিত্রীর জন্য অবদান রাখতে পারি। এটা হতে পারে বিদ্যুৎ, গ্যাস বা পানি অপচয় রোধ করার মতো ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কাজ। হতে পারে গাছ লাগানোর মতো মহৎ কাজ। আমরা কমিয়ে ফেলতে পারি গাছ বা পাহাড় কাটা। নিজেদের পরিচয় করতে পারি ইকো-ফ্যামনেবল জাতি হিসেবে।