“পোষ্য কোটা” বাতিলের দাবিতে ইংল্যান্ডে স্মারকলিপি

    1
    288

     আমারসিলেট24ডটকম,২৯মেঃ বৃহত্তর সিলেটের অনন্য শিক্ষাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচিত “পোষ্য কোটা” বাতিলের দাবিতে ইংল্যান্ড ও সমগ্র ইউরোপে বসবাসরত বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গত বুধবার রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েসের হাতে এই স্মারকলিপি তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রুমান বখত চৌধুরী, সুশান্ত দাস গুপ্ত এবং তৌহিদ। স্মারকলিপিতে বলা হয়, “আমরা ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে বসবাসরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ চরম উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, গত ১২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের পোষ্যদের কোটার বিধান রেখে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

    এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম, এমনকি ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকেও শাবিপ্রবির সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য মানুষ অব্যাহতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।” কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রকৃত মেধাবীরা ভর্তি ও শিক্ষালাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন এবং ক্রমান্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিম্নগামী হবে বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। আরো বলা হয়, কোটা পদ্ধতি প্রবর্তনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিম্নমানের শিক্ষার্থীদের ভর্তির পথ সুগম হলে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে তা বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে। স্মারকলিপিতে বলা হয়, কোটা পদ্ধতি তাদের জন্য, যারা সমাজে অনগ্রসর।

    কিন্তু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কখনই এ শ্রেণীতে পড়েন না। আর যদি তারা সমাজের অনগ্রসর অংশ হয়ে থাকেন, তাহলে অনগ্রসর শ্রেণীর নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। প্রতিবন্ধীর কোটা ছাড়া আর কোনো কোটা স্থায়ী হতে পারে না, উল্লেখ করে কোটা পদ্ধতিকে সংবিধানে “সবার সমান অধিকার সংরক্ষণ” এর সঙ্গে অসামঞ্জজস্যপূর্ণ এবং বৈষম্যমূলক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এবং এই পদ্ধতি বাতিলের জোর দাবিও জানানো হয় ওই স্মারকলিপিতে।