ঢাকা, ১৯ মে : পাকিস্তানে দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর করাচিতে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীর গুলিতে দেশটির শীর্ষ নারী রাজনীতিক জাহরা শহীদ হুসেইন নিহত হয়েছেন। তিনি ইমরান খানের পার্টি তেহরিক-ই-ইনসাফের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতের শেষ দিকে এ ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে আজ রবিবার আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় পুলিশের উদ্ধিতি দিয়ে গণমাধ্যম জানায়, তিনটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার হাতব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চাইলে জাহরা এতে বাধা দেন। এসময়ই দুর্বৃত্তরা তার মাথায় গুলি করে। ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই জাহরা বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। ঘটনার পর বন্দুকধারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পাকিস্তানি পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা নাসির আফতাব জানান, আপতদৃষ্টিতে এটা একটি হ্যান্ডব্যাগ চুরির ঘটনা। এ নিয়ে তদন্ত করলে হয়তো অন্য কিছু বের হয়ে আসতে পারে।
তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খান এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের প্রধান আলতাফ হুসেইন এ হত্যার জন্য দায়ী। অবশ্য ইমরান খান এর আগে আলতাফ হুসেইনের বিরুদ্ধে হুমকি ও পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সৃষ্টিতে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ার জন্য সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছিলেন। তিনি দেশজুড়ে আলতাফ হুসেইনের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।
জাহরার হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দলটির এক নেতা জানান, তার মাথায় দুটি গুলি করা হয়েছে। দলটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে মর্মান্তিক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।
গত ১১ মে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান সাধারণ নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হওয়ায় করাচির ৪৩টি কেন্দ্রে রবিবার পুনরায় ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে পাকিস্তানি মুসলিম লীগ ১৩০টি, পিটিআই ৩৭টি, জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি পেয়েছে ৩৫টি আসন। এছাড়া এমকিউএম অন্যান্য দল ৭০টি আসনে জয়লাভে করেছে।
