পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলের রাস্তা যেন মরণফাঁদ!

0
578
পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলের রাস্তা যেন মরণফাঁদ!

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ বলছে “রাস্তার টেন্ডার হয়ে গেছে ঠিকাদার মাঠে নেমেছে রাস্তায় সার্ভেয়ার কাজ করছে দশ, বারো দিনের মধ্যে মালপত্র হয়তোবা নামবে ১৫/২০ দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে‌।

নূর মোহাম্মদ সাগর, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় শ্রীমঙ্গলের চৌমুনার সঙ্গে স্টেশন রোড ও ভানুগাছ রোডে পৌর শহরের সড়কের বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। পিচ ও পাথর উঠে খানা খন্দে ভরে গেছে পুরো রাস্তাটি। পিচ উঠে গেলে উপরে ইটের রাবিশ দেয়ায় আরও রাস্তাটির খারাপ অবস্থা ধারণ করেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও রাস্তায় গর্ত থাকায় স্বল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে পথচারীসহ গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে । স্টেশন রোড থেকে পর্যটন নগরীর বধ্যভূমি পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়লেও সংস্কার হচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে।

শ্রীমঙ্গল পৌরসভার গুণীজন ও পৌর এলাকাবাসীরা প্রতিনিয়ত অভিযোগ করে বলেন, এই রাস্তা গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ পৌর শহর থেকে আসা মা-বোনেরা এই সড়ক না চেয়েও যেতে হয় গর্ভবতী মহিলারা যে পরিমাণ কষ্ট পান সেটি কেবল ভুক্তভোগীরাই ভাল জানেন। তাছাড়া সব ধরনের রোগীরা শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে চাইলে মারাত্মক ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হয় । ছাত্র-ছাত্রীরা পড়তে আসতে যাতে এদের চরম বিঘ্নতা সৃষ্টি হয়। সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দ্রনাথ প্রাথমিক বিদ্যালয় , উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, গাউছিয়া শফিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ, দি রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, বেহাল রাস্তার পাশে রয়েছে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, রয়েছে উন্নত মানের খাবারের হোটেল, শপিং মহল, এ রাস্তা দিয়ে বেশিরভাগ মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয কাঁচামাল জিনিসপত্র নিতে আসতে হয়।

৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ঘুরে দেখা যায়, রাস্তাটি দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষের পাশাপশি শিক্ষার্থীরা, নানা পেশার লোক এবং নানান প্রকার ভারী ও হালকা যান চলাচল করে। রাস্তাটি খানা-খন্দে ভরে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।

যানবাহন চলাচলের ফলে জমে থাকা পানি কাদায় পরিণত হয় আর ঐ কাদা যুক্ত পানি ছিটকে কাপড় নষ্ট হয় পথচারীদের। খানা-খন্দের কারণে যানবাহন চলাচলে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো : জহিরুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের, শ্রীমঙ্গল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর থেকে আমাদেরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যেই রাস্তাগুলির কাজ সম্পন্ন করা হবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর প্রকৌশলী জিয়া উদ্দিনকে রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তার টেন্ডার হয়ে গেছে ঠিকাদার মাঠে নেমেছে রাস্তায় সার্ভেয়ার আজ করছে দশ, বারো দিনের মধ্যে মালপত্র হয়তোবা নামবে ১৫/২০ দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে‌।