পছন্দের সাংবাদিক দিয়েই চলছে প্রশাসনসহ সরকারি দপ্তরে কাজ

    0
    447

    আমার সিলেট টুয়েন্টিফোর ডটকম,২৩আগস্ট,নড়াইল প্রতিনিধিঃ  নড়াইলে পছন্দের সাংবাদিক দিয়েই চলছে জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কাজ। সরকারি গনমাধ্যম কর্মিদের বাদ রেখেই নড়াইল জেলা ব্যান্ডিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত। বুধবার সকালে নড়াইল জেলা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

    অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ কামরুল আরিফ তার পছন্দের সাংবাদিক যারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ অন্যান্য সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সালাম দেন তাদের কর্মশালার দাওয়াতপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

    অথচ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ সরকারের বিভিন্ন কাজের সংবাদ পরিবেশনের জন্য প্রতিটি জেলায় বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধি থাকলেও নড়াইল জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সরকারি দপ্তর গুলো তাদের কোন কর্মকান্ডে সরকারি গনমাধ্যমকে জানান না বলে অভিযোগ রয়েছে। শুধু কোন মন্ত্রী বা কোন পদস্থ কর্মকর্তা আসলে প্রটোকল অনুযায়ি তাদের একটি পত্র দেয়া হয়। অফিস প্রধানদের যে সকল সাংবাদিক সকাল-বিকাল অফিসে যেয়ে তাদের খোঁজ খবর রাখেন সালাম-কালাম দেন তাদের দিয়েই সাংবাদিকের কোঠা পুরন করা হয়। নামকাওয়াস্তে গণমাধ্যমের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন কমিটির সভাপতি-সম্পাদক বনে গিয়ে সকালে ঘুম থেকে উঠে তারা চলে যান অফিসে সালাম বিনিময় করতে।

    বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার  জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম জানান, আগে মন্ত্রী বা কোন পদস্থ কর্মকর্তা আসলেও বাসসের প্রতিনিধিকে কোন পত্র দিত না, এদানিং মাঝে মধ্যে বাসস প্রতিনিধিকে  পত্র দেয়া হয় আর  জেলা প্রশাসনের কর্মকান্ডের কোন পত্রই সরকারি গণমাধ্যম কর্মিদের দেয়া হয় না। বার বার জেলা প্রশাসনের কাছে  নড়াইল প্রেসক্লাব থেকে সদস্যদের লিষ্ট দেয়া হলেও ,  অজ্ঞাত কারনে সরকারি গণ মাধ্যম কর্মিদের বাদ দিয়ে পত্র দেয়া হয়।

    বাংলাদেশ বেতারের জেলা সংবাদদাতা সুজয় কুমার বকসী জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ অন্যান্য সরকারি কার্যালয়ের  সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডের কোন সভার পত্র দেওয়া হয়না। যার কারনে জেলার উন্নয়ন মূলক অনেক সংবাদ দেশের মানুষ জানতে পারেনা। এটি সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডকে আড়াল করার অপচেষ্টা বলে আমি মনে করি।

    নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবীর টুকু বলেন, বিটিভির জেলা প্রতিনিধি ও সভাপতি হওয়ায় আমাকে তিনটি চিঠি ইস্যু করা হয়। বেতার ও বাসস প্রতিনিধিকে চিঠি দেয়ার বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ) মোঃ কামরুল আরিফকে বললে তিনি বলেন, কর্মশালায় অংশগ্রহন কারীদের কোটা পুরন হয়ে গেছে তাই আর কাউকে দাওয়াত পত্র দেয়া সম্ভব না।

    এদিকে কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক ) মোঃ কামরুল আরিফের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরী। এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ^াস, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) কাজী মাহাবুবুর রশীদ, কৃষি সম্প্রসারণ অদিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।

    কর্মশালায় সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ,এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর ৫০ জন অংশ গ্রহন করেন।