নৌকা পেলে জয়ী হওয়া সহজ ভেবেই কি নৌকার জন্য মরিয়া ?

0
702
নৌকা পেলে জয়ী হওয়া সহজ ভেবেই কি নৌকার জন্য মরিয়া ?

“দলের নিবেদিত, ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতারাই দলীয় মনোনয়ন পাবেন। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী, সুবিধাবাদী ব্যক্তিরা মনোনয়ন কখনোই পাবে না” জুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল হোসেন

হাবিবুর রহমান খান: জুড়ী প্রতিনিধিঃ আগামী ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে ঐদিন ভোট গ্রহণ করা হবে। এ উপলক্ষে জুড়ী উপজেলায় বইছে ভোটের হাওয়া। নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জোর প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দলের দলীয় মনোনয়ন পেতে জেলা ও উপজেলা নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন সম্ভাব্য নৌকার প্রার্থীরা।সাধারণ ভোটারদের প্রশ্ন নৌকা পেলে জয়ী হওয়া সহজ ভেবেই কি নৌকা পাওয়ার জন্য মরিয়া ? কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ দাবী করছে নির্বাচনে কোন কারচুপি মেনে নেওয়া হবেনা এবং এর কোন সুযোগ নেই।

তবে এসব প্রার্থীদের বেশিরভাগই মনে করছেন ক্ষমতাসীন দল হিসেবে দলীয় প্রতীক নৌকা পেলে নির্বাচনে জয়ী হওয়া অনেকটাই সহজ হবে। তাই অনেকেই দলীয় প্রতীক নৌকা পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। যেকোনো মূল্যে দলীয় প্রতীক নৌকা পেতে অনেকে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথেও নানাভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যে জীবন বৃত্তান্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের মাধ্যমে জেলা আওয়ামীলীগের নিকট জমা দিয়েছেন। জেলা আওয়ামীলীগ দলীয় একক প্রার্থী মনোনয়নে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রেরণ করবেন।

জুড়ী উপজেলার ৫ ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন নৌকা পেতে প্রায় দুই ডজন প্রার্থীর জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শরদেন্দু দাস।
গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী বারবার নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন লেমন।

উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নে নৌকার মাঝি হতে চান আওয়ামীলীগের ৮ নেতা।তারা হলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি জাকির হোসেন কালা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আহমদ ফয়ছল নাহিদ, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম অফিকুল, আওয়ামীলীগ নেতা জামাল উদ্দিন, আব্দুল লতিফ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, উপজেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব ওয়ারিস উদ্দিন আহমদ হাসান।

পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এমএ সালাম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত দাস, সাধারণ সম্পাদক জুবের হাসান জেবলু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আনফর আলী, এম এ কাইয়ুম।

পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হতে চান বর্তমান চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন আহমদ, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল কাদির, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ রহমত আলী, ফ্রান্স আওয়ামীলীগ সদস্য ওবায়দুল ইসলাম রুহেল, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়ছল আহমদ।

সাগরনাল ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হতে আবেদন করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর নূর, উপজেলা ওলামালীগের সভাপতি রোস্তম আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এখলাছুর রহমান, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিদ্দিকুর রহমান সুমন।

দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল হোসেন জানান দলের নিবেদিত, ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতারাই দলীয় মনোনয়ন পাবেন। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী, সুবিধাবাদী ব্যক্তিরা মনোনয়ন কখনোই পাবে না।