নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকারের রূপরেখা নিয়ে সংলাপ অনুষ্ঠানের আহ্বান

    0
    236

    আমারসিলেটটোয়েন্টিফোর,০৭ সেপ্টেম্বর  : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকারের রূপরেখা নিয়ে সংলাপ অনুষ্ঠানের বিষয় পুনরায় গুরুত্ব আরোপ করেছে। আজ ৭ সেপ্টেম্বর পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পলিটব্যুরোর সভা নির্বাচনকালীন সময়ে জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, অর্থ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত করার কথা পুনরুল্লেখ করে বলেছে নির্বাচনের প্রশ্নে নির্বাচন কমিশন ছাড়া অন্তবর্তী সরকারের কোন ভূমিকা থাকবে না।

    ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় এতদ্বিষয়ে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে বিএনপি-জামাত জোটের অনড় অবস্থান নির্বাচনকেই অনিশ্চিত করে তুলেছে। বস্তুতঃ নির্বাচন নয় যুদ্ধাপরাধী বিচার প্রক্রিয়াকে বানচাল করার লক্ষ্যে একটি সংঘাতময় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করাই তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য। আর সে কারণেই তারা নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকারের প্রশ্নে কোন ধরনের প্রস্তাব দিতে অস্বীকার করে আসছে। ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকারের রূপরেখা নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য আহ্বান জানান হয়।

    পলিটব্যুরোর সভায় গৃহীত প্রস্তাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রদত্ত রায়সমূহকে অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়ে বলা হয় ঐ সকল রায়ে যুদ্ধাপরাধের প্রশ্নে জামাত ও তার ছাত্র সংগঠনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ও সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। ফলে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করাও জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রস্তাবে জামাত-শিবিরসহ জঙ্গিবাদী সংগঠনসমূহের আর্থিক উৎস বন্ধের ব্যাপারে সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান হয়।

    ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারকে সফল পরিণতির দিকে নিয়ে যাওয়া, জামাত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা, নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকারের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন এবং ঐ প্রশ্নে সংলাপ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমঝোতায় উপনীত হওয়া এবং সর্বোপরি দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ও সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতির বিপরীতে দেশের প্রগতিশীল পরিবর্তনের দাবির পুনরুল্লেখ করে ঐ দাবিতে সকল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাম প্রগতিশীল শক্তিসমূহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ও ঐক্যবদ্ধ কার্যক্রম গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।

    ওয়ার্কার্স পার্টির প্রস্তাবে বলা হয় বিএনপি-জামাত আঠার দলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণবিরোধী অবস্থানের বিপরীতে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শাসন ধারা অব্যাহত রাখার কোন বিকল্প নাই। প্রস্তাবে সেই লক্ষ্যে দেশের মানুষকে সেই কর্তব্য কর্ম সম্পাদনে সজাগ, সতর্ক, সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান হয়।

    পলিটব্যুরো সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, পলিটব্যুরো সদস্য কমরেড বিমল বিশ্বাস, কমরেড নুরুল হাসান, কমরেড ফজলে হোসেন বাদশা, কমরেড শফিউদ্দিন আহমেদ, কমরেড শেখ হাফিজুর রহমান ভুইয়া, কমরেড মাহমুদুল হাসান মানিক, কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, কমরেড নুর আহমদ বকুল, কমরেড হাজেরা সুলতানা, কমরেড কামরূল আহসান প্রমুখ।