নবীগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

0
710
নবীগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ
নবীগঞ্জ থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

নূরুজ্জামান ফারুকী নবীগঞ্জঃ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দেবপাড়া (বাশঁডর) গ্রামে বিজনা নদীর ইজারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও হামলায় জাহির আলী (৭৫) হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে পরিবর্তনের আবেদন জানানো হয়েছে। নিহত জাহির আলীর পুত্র মামলার বাদী আরশ আলী গত ২৯ এপ্রিল পুলিশ হেডকোয়ার্টারে এ আবেদন জানিয়েছেন।
মামলার বাদী আরশ আলী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২০২০ সনের ১৬ জুলাই বিজনা নদীর জলমহাল ইজারা নিয়ে আসামীদের সাথে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আসামীরা আরশ আলীর পিতা জাহির আলীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ হত্যাকান্ডের পরদিন আরশ আলী বাদী হয়ে ৯২ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় নবীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) আমিনুল ইসলামকে। দায়িত্ব পাবার পর আমিনুল ইসলাম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২০/২৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করেন। বাকী আসামীরা আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। পরে আসামী আব্দুল মন্নান ছাড়া সকল আসামী জামিন লাভ করেন।
অভিযোগে আরশ আলী বলেন, গত ২ সপ্তাহ পূর্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি আমিনুল ইসলাম আসামী পক্ষ থেকে আর্থিকসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে হত্যা মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেন। এর অংশ হিসেবে বাদি পক্ষের ২ জনকে গ্রেফতার করে মারধর ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তাদের নিকট থেকে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি গ্রহন করা হয় এবং বাদি পক্ষের নিরীহ লোকজনকে অসৎ উদ্দেশ্যে হয়রানী করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় তদন্তকারী কর্মকর্তার কার্যকলাপে বাদী তার পিতার হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন বলে অনুধাবন করছেন। ইতিমধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তার এহেন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলেন করা হয়েছে। এ অবস্থায় বাদী তার পিতার হত্যার সঠিক তদন্তের জন্য মামলার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলামকে তদন্তকারী কর্মকর্তা থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন কোন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করার জন্য আবেদন জানান।
উল্লেখ্য, নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দেবপাড়া (বাশঁডর) গ্রামে বিজনা নদীর ইজারাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের লোকজনের মাঝে হামলা পাল্টা হামলা, মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। দু’পক্ষের বিদ্যমান বিরোধ মিমাংসা করতে থানা পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় উপজেলা পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান’র উদ্যোগে একাধিক বার বসেও কোন সুরাহা হয়নি।