নবীগঞ্জে গৃহবধূর মৃত্যু রহস্য নিয়ে নানা প্রশ্ন

0
310
নবীগঞ্জে গৃহবধূর মৃত্যু রহস্য নিয়ে নানা প্রশ্ন
নবীগঞ্জে গৃহবধূর মৃত্যু রহস্য নিয়ে নানা প্রশ্ন

বিশেষ প্রতিনিধি,হবিগঞ্জ: নবীগঞ্জ উপজেলায় হনুফা বেগম (২৮) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে রহস্য। হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানা যাবে ময়না তদন্তের পর এমনটাই বলছে পুলিশ।

বুধবার (২০ জুলাই ২০২২) সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ থানা ও গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়স্থগ্রামে বসত ঘর থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। হনুফা বেগম (২৮) ওই গ্রামের ইরাক প্রবাসী সেলিম মিয়ার স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের মা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- স্বামী সেলিম মিয়া প্রবাসে থাকায় প্রায়ই শ্বাশুড়ি মনোয়ারা বেগমের সাথে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয় হনুফা বেগমের। এ জন্য দীর্ঘদিন পিত্রালয় বসবাস করে কিছুদিন পূর্বে আবারও ফিরে আসেন স্বামীর বাড়িতে।

বুধবার দুপুরে ফের ঝগড়া হয় শ্বাশুড়ি মনোয়ারা বেগমের সাথে। এর কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশী এক নারী গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রান্না ঘরের মাটিতে হনুফা বেগমের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য অয়তুন মিয়াসহ এলাকার মুরুব্বিয়ান ঘটনাস্থলে যান। এ সময় হনুফার স্বামী সেলিম মিয়ার বোন সেফু বেগম মুরুব্বিদের জানান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন হনুফা বেগম। এর কয়েক ঘন্টা পর হনুফা বেগমের গলায় ওরনা পেঁচানোর জখমের দাগ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। হনুফা বেগমের মৃত্যু নিয়ে তথ্য গোপন করার ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমেদ, গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক সামছুদ্দিন খানসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গজনাইপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য অয়তুন মিয়া জানান- প্রথমে হনুফা বেগম হৃদরোগের কারণে মারা গেছেন বলে বলা হয়, হনুফা বেগমের ছোট্ট মেয়েও সে রকম কথা জানায়। তারপর এলাকাবাসী গলায় দাগ দেখতে সন্দেহ হয় পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ সংবাদ লেখা পর্যন্ত লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আমরা বিভিন্ন দিক তদন্ত করছি, এবং লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,”এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসার পর জানা যাবে।”