নবীগঞ্জে কুশিয়ারার বাধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে জমি

    0
    234

    বাড়ি ঘরে উঠেছে পানি, পরিদর্শনে ইউএনও  

    আমার সিলেট টুয়েন্টি ফোর ডটকম,০৭এপ্রিল,মতিউর রহমান মুন্না,নবীগঞ্জ থেকে: কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে আসায় গতকাল নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের কুশিয়ারার বাধ ভেঙ্গে নতুন করে অনেক জমি তলিয়ে গেছে। বাধ ভেঙ্গে যাওয়ায় নদীর পানিতে ওই ইউনিয়নের বেশ কিছু নদী তীরবর্তী অনেকের বাড়ির আঙ্গিনায় পানি উঠে যাওয়ায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তলিয়ে গেছে প্রায় ১৭০ হেঃ জমি। বাধ ভাঙ্গার খবর পেয়ে পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এওলা। এছাড়াও পুরো উপজেলায় মোট ২০৫০ হেঃ জমি তলিয়ে গেছে বলে কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

    স্থানীয়রা জানান, কসবা এলাকার কৃষকরা তাদের জমির ফসল রক্ষার্থে নিজেরাই কসবা এলাকায় বাধ দিয়েছিলেন। কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে বাধের উপর দিয়ে অল্প করে পানি প্রবেশ করে। কিন্তু তাৎক্ষনিক কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় গতকাল বাধটি পুরোপুরি ভেঙ্গে গিয়ে জমিতে পানি প্রবেশ করে এতে প্রায় ১৭০ হেঃ জমি তলিয়ে গেছে। এবং অনেক বাড়ির আঙ্গিনায় পানি উঠে যাওয়ায় অনেকেই আতঙ্কে আছেন।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া রাধাপুর গ্রামের মূল বাধ ভেঙে গেলে নবীগঞ্জের কয়েকটি ইউনিয়নে বন্যায় প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে কুশিয়ারা নদীর ওই ডাইকের মেরামত করে অকাল বন্যার হাত থেকে নবীগঞ্জবাসীকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    স্থানীয়রা আরো জানান, প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে এ অ লের মানুষের দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হয়। নদীর তীরবর্তী গ্রাম হওয়ায় এ দুর্ভোগের শিকার হতে হয় তাদেরকে। অনেক পরিবারের লোকজনকে হাঁটুপানিতে ভিজে ঘরে আসা যাওয়া করতে হয় তাদের। প্রতিবছরই নদী ভাঙনের শিকার হয়ে শতশত পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে। এর মধ্যে বর্ষা মৌসুমে মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। এছাড়াও অতিবৃষ্টিতে নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার সন্ধা পর্যন্ত পাওয়া খবরে জানা গেছে মোট ২০৫০ হেঃ জমি অতি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। কৃষি অধিদপ্তরে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় প্রেরিত অতিবৃষ্টিতে বোরো ধান নিমজ্জিত হওয়ার প্রতিবেদনে কৃষি কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন ‘৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নে বাধ ভেঙ্গে নতুন করে কিছু জমিতে পানি প্রবেশ করেছে’ মর্মে মন্তব্য করেন।

    এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার বলেন, বাধ ভাঙ্গার খবর পেয়ে গতকাল আমরা সরজমিনে গিয়ে দেখে এসেছি। বাধ ভেঙ্গে কিছু জমি ও কয়েকটি বাড়ির আঙ্গিনায় পানি উঠে গেছে। এটি পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃক দেয়া না, বাধটি স্থানীয় কৃষকরা তাদের ফসল রক্ষার্থে নিজেরা দিয়েছিলেন। তবে পানি না কমা পর্যন্ত বাধ মেরামত করা যাবেনা বলে জানান ইউএনও।